মা ইলিশ রক্ষায় গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ০২ জেলের কারাদণ্ড

পটুয়াখালী
  © সংগৃহীত

মা ইলিশ রক্ষায় পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় তেতুলিয়া নদীর বিভিন্ন স্থানে গত রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতভর অভিযান চালিয়ে ০৯ জেলেকে আটক করেছে গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ০২ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল ।

উপজেলা মৎস দপ্তর সূত্রে  জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায়  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা স্পিডবোট নিয়ে গতকাল রাতে নদীতে অভিযানে নামেন। এসময় রাতভর অভিযান চালিয়ে চরকাজল ও চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানের নদী থেকে ০২টি মাছ শিকারের ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ ও ০৯ জেলেকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ০২ জেলেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও একজনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ০৬ কিশোরকে। এসময় প্রায় ৭০ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়। এছাড়াও প্রায় ০২ লক্ষ টাকার জাল জব্দ করে বিনষ্ট করা হয়। 

ইউএনও গলাচিপা বলেন, মা ইলিশ রক্ষা করার জন্য তাঁরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। অভিযানও অব্যাহত রেখেছেন। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের মধ্যে জেলেরা যাতে নদীতে না নামেন, এ জন্য ১৫ হাজার ৫০০ জেলেকে খাদ্যসহায়তা হিসেবে ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখন ইলিশের প্রজনন মৌসুম চলছে। এ সময় মা ইলিশ ডিম পাড়ার জন্য সমুদ্র থেকে মিঠা পানিতে আসে। ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে ১২ অক্টোবর  থেকে ০২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা, পরিবহন, বিপণন ও মজুত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিভিন্ন স্থানে মা ইলিশ শিকার করছেন কিছু জেলে। উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সমন্বয়ে নদীতে অভিযান অব্যাহত আছে।

উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী  বলেন, এখন ইলিশ ডিম দিচ্ছে। ধৈর্য ধারণ করে সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে কয়েক গুণ। এ সময় ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকার জন্য জেলেদের অনুরোধ করেছেন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ