ঈশ্বরদীতে বিএনপির অবরোধে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে ককটেল বিস্ফোরণ ও ভাংচুর
- ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪০ PM , আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:৪০ PM

বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে পাবনার ঈশ্বরদীতে রেল অবরোধ করে কলকাতা-ঢাকা রুটের আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা পাথর নিক্ষেপ করে কয়েকটি জানালার গ্লাস ভাংচুর ও রেলের পাশের বনের ঝাড়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
বুধবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে লোকোসেড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একটি ককটেল ও পেট্রোল বোমার বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তার আগে সকাল নয়টার দিকে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধ সফল করার লক্ষ্যে রেলগেট থেকে কড়ইতলা মোড় এলাকা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে বোমা হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় স্থানীয়রা জানান, বিএনপির লোকজন প্রথমে রেল লাইনের পাশের বনের ঝাড়ে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে। তারা এসময় বিভিন্ন স্লোগানও দেয়। পরবর্তীতে কলকাতা-ঢাকা রুটের মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে তারা ককটেল বিস্ফোরন ও পাথর নিক্ষেপ করেছে। নেতাকর্মীরা চলে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে ফেলে।
ঈশ্বরদী লোকোসেড রেলগেটের গেটম্যান শরিফুল ইসলাম জানান, ১৫-১৬ জনের একদল যুবক রেল অবরোধ করে স্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় তারা পাশের বনের ঝাড়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং লোকোমোটিভ সেডের সামনে
মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন আসলে ককটেল ও পাথর নিক্ষেপ করে জানালার গ্লাস ভাংচুর করে পালিয়ে যায়। এ সময় দ্রুত ট্রেনটি ঢাকার দিকে চলে যায়।
মুঠোফোনে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের লোকো মাস্টার(চালক) রবিউল ইসলামের সঙ্বগে কথা হলে তিনি বলেন, ১১ টা ৫৫ মিনিটের সময় ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন ছেড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে লোকোমোটিভ সেডে আসা মাত্র দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। জোরে শব্দ শুনে পিছনে তাকালে রেললাইনের পাশে আগুন আর ধোঁয়া দেখতে পাই।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী(ডিএন-২) বীরবল মন্ডল জানান, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন দুপুর ১২ টার দিকে ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনের অদূরে লোকোসেড অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ৭২১৯ কোচে পাথর ছুড়ে মারে এতে জানালার দুইটি গ্লাস ভেঙ্গে গেছে।
পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপার সাহাব উদ্দীন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদীর লোকোসেড অতিক্রম করার সময় কিছু দুস্কৃতকারী ট্রেনে হামলা চালিয়ে জানালা ভাংচুর করে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছি। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।
এ খবর পেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক মোঃ আসাদুজ্জামান, জেলা পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবীর কুমার দাশ, ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে যুবলীগ নেতা দোলন বিশ্বাস, মিলন চৌধুরী ও আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ র্যাব, বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।