যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

যশোর
মানববন্ধনের একাংশ  © সংগৃৃহীত

যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের সীমাহীন দূর্নীতি ও অনিয়ম এর বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সামনে মানববন্ধন হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে ভুক্তভোগীসহ শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ওলিয়ার রহমান, নওয়াপাড়া পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খন্দকার, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আরেফা মিতা, ভুক্তভোগী তুহিন হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে সঠিক সময়ে হাসপাতালে ডাক্তারের উপস্থিতি, টেস্ট বানিজ্য বন্ধ, দালাল মুক্ত হাসপাতাল, ন্যায্য ভাড়ায় সরকারি এম্বুলেন্স, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি মুক্ত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার, সরকারি ওষুধের সুষ্ঠু বণ্টনসহ নানা দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, অভয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানসহ ডাক্তাররা সিন্ডিকেট করে অন্য ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের সঙ্গে কমিশন বাণিজ্য করে সাধারণ রোগীদের সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করছেন।

এ সময় বক্তারা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামানের অপসরণ দাবি করেন। এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দ্রু কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

উপজেলার বুইকরা গ্রাম থেকে আসা ভুক্তভোগী রফিক শেখ বলেন, তার মাকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে আনা হলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। ডাক্তার তাকে খুলনা নিয়ে যেতে বলেন।

সুলতানা আরেফা মিতা বলেন, ‘আমার খালাত বোন গতমাসে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে তাকে আমি হাসপাতালে নিয়ে আসি। কিন্তু তার প্লাটিলেট একটু কম হওয়ায় চিকিৎসক সেবা না দিয়ে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কথা বলে চিকিৎসককে এখানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করলেও তারা সে অনুরোধ রাখেননি।’

শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি আমার স্ত্রীকে কিছুদিন আগে হাসপাতালে আনি ডাক্তার দেখাতে। ডাক্তার আমার স্ত্রী সমস্যার কথা শুনে সেবা প্রদানের আগেই বলেন টেস্ট করিয়ে নিয়ে আসেন পরে ওষুধ দিচ্ছি। এসকল কিছুর জন্য দায়ী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো: ওয়াহিদুজ্জামান। অবিলম্বে তার অপসরণ দাবি জানাই।


মন্তব্য