আমন মৌসুম কৃষকদের মনে এনেছে আনন্দ 

কালাই
  © টিবিএম ফটো

জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় শুরু হয়েছে আমনের আগাম জাতের ধান কাটার উৎসব। আগাম জাতের ধানের সোনালি শীষে ভরে গেছে কৃষকের খেত।বাতাসে ঢেউ তুলেছে সোনালি ধানের শীষ।সোনালি ধান হাসি ফুটিয়েছে তাদের মুখে।ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।ধান কাটা-মাড়াই কাজে কৃষকের পাশাপাশি ব্যস্ততা বেড়েছে দিনমজুরদেরও। উপজেলার পৌরসভাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে আগাম জাতের আমন ধান। সব জায়গায় চলছে ধান কাটার উৎসব।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন,চলতি আমন মৌসুমে প্রায় বার হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে।এবং তিনশ চুয়াত্তর হেক্টর জমিতে অন্যান্য ফসল আবাদ হয়েছে।উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছেন।এর ফলে একই জমিতে তিনটি ফসল আবাদ করা সম্ভব হচ্ছে।এতে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।এবার আমন মৌসুমে পাঁচ হাজার তিনশত জন কৃষককে প্রনোদনা হিসাবে সার,বীজ ও কীটনাশক ঔষুধ দেয়া হয়েছে।তবে সেচ,হালচাষ,কীটনাশক ও শ্রমিক মজুরি বৃদ্ধি হওয়ায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে।

এ উপজেলার সিংহভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল।এবং জমিতে আমন চাষ হয় সবচেয়ে বেশি।তবে এবার শুরুতে খরা এবং শেষ মুহূর্তে অতিবৃষ্টি,পোকা ও দমকা হাওয়াসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়েছে চাষিদের।এ দুর্যোগ কাটিয়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস।
 
কৃষকরা জানান, এবছর প্রায় ১০ জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে।এর মধ্যে ব্রি-৪৯, ব্রি-৫২, বিনা-২৭ ও স্বর্ণা জাত অন্যতম।এছাড়াও স্থানীয় জাতের ধান প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে।কিন্তু গত দুই মাসে অতিবৃষ্টি ও কারেন্ট পোকার আক্রমণের কারণে ফলন হ্রাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন,তার ৬ বিঘা জমিতে মামুন স্বর্ণা জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে কাটা পড়বে।প্রতি বিঘায় কাঁচির হিসেবে (২৮ কেজিতে মণ) ২৫ থেকে ২৬ মণ করে ফলন হতে পারে।তবে গত বছর বিঘা প্রতি ২৮ থেকে ৩০ মণ (কাঁচি) করে ফলন হয়েছিল।এবছরেও ভাল ফলন আশা করা হচ্ছে। 

আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের হাতিয়র কাজীপাড়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন,‘তিনি আমন ধান কর্তন করে জমিতে আলু লাগানোর জন্য গোবর নিয়ে যাচ্ছেন।আলহামদুলিল্লাহ ফলন খুব ভাল হয়েছে।নতুন ধান পেয়ে তিনি আনন্দিত। তবে ধানের ন্যায্য দাম পেতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ কুমার রায় বলেন,আবহাওয়া অনুকুলে আছে।এবারে আমনের ফলন ভালো হয়েছে।ধানের দামও ভালো আছে।হেক্টর প্রতি প্রায় ৬ মেট্রিক টন করে ফলন ধরা হয়েছে,সেই হিসেবে এবার ৭২ হাজার মেট্রিক টন ফলন হবে।যা উপজেলার জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় কয়েকগুন বেশি।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ