পুলিশের চেষ্টায় ৯ বছর পর পরিবার ফিরে পেলেন রাস্তায় পড়ে থাকা বৃদ্ধা

নীলফামারী
বৃদ্ধাকে পরিবারের হাতে তুলে দেয়া পুলিশ  © সংগৃৃহীত

রাস্তায় পড়ে ছিলেন এক বৃদ্ধা। মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় ঠিকমতো নাম ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। পরে পুলিশের সহায়তায় ৯ বছর পর পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন ৭০ বছর বয়সী সুফিয়া কামাল।

ঘটনাটা নীলফামারীর ডিমলা থানা এলাকার। সেখানে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা সুফিয়া কামালকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সুফিয়াকে তার ছেলে বাবুল হোসেন (৫১) ও মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (৫০) কাছে হস্তান্তর করেন ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায়। 

সুফিয়া খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ডাকেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, প্রায় নয় বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন সুফিয়া খাতুন। 

ডিমলা থানার উপপরিদর্শক আফছার আলী বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি চাপানি বাজারের একটি গলিতে ওই বৃদ্ধা মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে দুর্বল থাকায় ঠিকানা ও পরিচয় ঠিকমতো বলতে পারছিলেন না। তাঁর দেওয়া আংশিক তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন থানায় খোঁজ খবর নিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করি। পরে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার পরিবারের কাছে দেওয়া হয়। 

স্থানীয়রা বলেন, ওই বৃদ্ধা গত ৮ থেকে ৯ বছর ধরে চাপানি বাজারে অবস্থান করছে। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন। 

বৃদ্ধার ছেলে বাবুল হোসেন জানান, নয় বছর আগে নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন তাঁর মা সুফিয়া খাতুন। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে কোথাও পায়নি। একপর্যায়ে তাঁরা মাকে খুঁজে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বাবারও মৃত্যু হয়। পুলিশের মানবিকতায় হারানো মাকে এত দিন পরেও ফিরে পেলেন; এজন্য তিনি তাদের উপর কৃতজ্ঞ।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ রায় বলেন, বীরগঞ্জ থানায় বৃদ্ধার ছবি পাঠিয়ে পরিচয় জানার চেষ্টা করা হয়। সেখানে থানা-পুলিশের সহযোগিতায় তার সঠিক পরিচয় পাওয়া যায়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া দেওয়া হয়। 

ওসি আরও বলেন, নয় বছর পর সুফিয়া খাতুনকে ফিরে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ