পাবনা-৪ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেন আওয়ামীলীগ সহ রাজনৈতিক দলের ৬ প্রার্থী

মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন আজ। বৃহস্পতিবার(৩০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার সুবীর কুমার দাসের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পাবনা-৪ আসনের(ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রয়াত সাবেক ভুমিমন্ত্রীর ছেলে পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গালিবুর রহমান শরীফ। এছাড়াও বিকালে  অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আরও পাঁচজন প্রার্থী এ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তারা হলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের আতাউল হাসান, জাতীয় পার্টির রেজাউল করীম খোকন, জাকের পার্টির হায়দার আলী। অন্যদিকে পাবনা জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং অফিসারের নিকট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য  পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস।

গালিবুর রহমান শরীফ ঈশ্বরদী ছাড়াও আটঘরিয়া উপজেলা ও পাবনাতেও পৃথকভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এসময় ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী বিশ্বাস, পৌরমেয়র ইসাহক আলী মালিথা, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহজেবিন শিরিন পিয়া, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম খান, পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগনেতা মতলেবুর রহমান, যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক সোহানা পারভীন রুনাসহ ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

মনোনয়নয়ন পত্র দাখিলের পর আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী গালিবুর রহমান শরীফ বলেন, আমি ঈশ্বরদী-আটঘরিয়ার মানুষের ভালবাসা চাই। যেসব সম্মানীত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন আমি সহ তাদের সকলেই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচনী কাজ চালিয়ে যাবেন বলে বিশ্বাস করি। আগামী ৭ জানুয়ারি অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ঐদিন আমরা একটি ভোট উৎসব পালন করব। 

মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে জাসদের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা জাসদের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৪ আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল থেকে মনোনীত হয়েছি। আজ সেই মনোনয়নপত্র জমা দিলাম। দেশ স্বাধীনের ৫২ বছর পার হলেও আমাদের কোন উদ্দেশ্য ও আদর্শ বাস্তবায়ন হয়নি। সাংবিধানিক বৈধতা রক্ষার জন্য সরকারের সৈনিক হিসেবে এ নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছি। আমি চাই অন্যান্য রাজনৈতিক যে বৃহৎ দলগুলো রয়েছে তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য আরেকটু সময় বাড়িয়ে আমাদের উদ্দেশ্য ও সোনার বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয় তা বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া হোক। শতভাগ ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহবান জানাচ্ছি ভোটারদের কাছে। 
কৃষক শ্রমিক জনতালীগের মনোনীত প্রার্থী আতাউল ইসলাম বলেন, এ আসনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি হিসেবে এ নির্বাচনের উপর আমাদের পুরোপুরি আস্থা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগনের সমর্থনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করতে পারবো।