কেন জানি মনে হয়, আমি বেশিদিন বাঁচবো না: শামীম ওসমান 

সারাদেশ
শামীম ওসমান  © সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাকে মন্ত্রী হতে বলা হয়েছে, আমি হইনি। আমি মানুষকে ভালোবাসি, আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে আমি এটাই শিখেছি। এই ফতুল্লা অঞ্চলে ১২-১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ আমরা করে ফেলেছি। আমরা প্রাইমারী স্কুল করেছি ১২৫ কোটি টাকার উপরে, হাই স্কুল করেছি ২০০ কোটি টাকার উপরে। পাগলের মতো কাজ করেছি, কারণ আল্লাহকে খুশি করতে চাই।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনি কি মনে করেন, আওয়ামী লীগের সব ভালো লোক? না। এ দলেও খারাপ লোক আছে। অন্য দলে সব খারাপ লোক? না। সেখানেও ভালো লোক আছে। আমার জীবনের শেষ বয়স চলছে। প্রতিদিন আমার কেন জানি মনে হয়, আমি আর বাচবো না।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে শামীম ওসমান বলেন, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার নাম কি রাজনীতি? কেন রে ভাই। আল্লাহর কাছে কি জবাব দিবেন না। আমাদের ৫৪ জন মানুষকে এই পর্যন্ত নিজের হাত দিয়ে দাফন করতে হয়েছে। কই, আমরা তো প্রতিশোধ নেই না। আমাদের ওপর বোমা হামলা করা হয়েছিল, কেন? আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। অপরাধ করেছি? আমার এই ছোট ছোট ছেলেদের বৌ কেন বিধবা হবে? ওদের ছেলে-মেয়েরা কেন বাবা ছাড়া মানুষ হবে? আমার ভাই সেলিম ওসমান, তখন সে রাজনীতি করতো না। তার ফ্যাক্টরির ভেতর ঢুকে ৩০০ গরুর দুধের বান কেটে দেওয়া হলো। ভাইকে গ্রেফতার করা হলো। ১৫ মিনিটের মধ্যে যদি মনে করি ওদের নাই করে দিবো, পুলিশ-প্রশাসন ওদের পক্ষে থাকবে, তারপরেও কিচ্ছু করতে পারবে না। কিন্তু আমি এটা করবো না।

তিনি বলেন, আমরা ৮৫ ভাগ কাজ শেষে করেছি, আমি বাকি কাজগুলো শেষ করতে চাই। আমি এখন চাচ্ছি, নারায়ণগঞ্জের মানুষের যাতে আর ঢাকায় যেতে না হয়। নারায়ণগঞ্জে মেট্রোরেল হবে। নারায়ণগঞ্জে যদি আইটি ইনস্টিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়, মেট্রোরেল হয়ে যায় আমাদের কী দরকার আছে ঢাকায় যাওয়ার। আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই, স্যার্ট বাংলাদেশ দেখতে চাই। এগুলো ভোগ করবে কে? আমাদের বাচ্চারা। এই রাস্তা দিয়ে কী শুধু আওয়ামী লীগ চলে। বিএনপিও তো চলে। আমি নির্বাচনের পর সবাইকে একসাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানিসহ স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দ।