দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
রংপুরে জিএম কাদেরের সঙ্গে লড়বেন তৃতীয় লিঙ্গের রানী
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১২ PM , আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১২ PM

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে সবগুলোতে জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। এর মধ্যে দুটো আসন – গঙ্গাচরা ও সদর আসনে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে নিয়েছে। বাকি চারটি আসনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। এরমধ্যে রংপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী।
নির্বাচনে রংপুর-৩ (সদর-সিটি করপোরেশন) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে তিনি ঈগল প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন। এই প্রতীকে তিনি ভোটে লড়বেন। অন্যদিকে জিএম কাদের লড়বেন লাঙ্গল প্রতীকে।
এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন – বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক, এনপিপি’র আব্দুর রহমান, জাসদ-এর শহিদুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম।
রংপুর-৩, অর্থাৎ সদর আসনটিতে ছয়জন প্রার্থী থাকলেও কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা দৃশ্যমান নয়। স্থানীয়রা বলছেন এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রত্যাহার করায় জিএম কাদের ‘ওয়াকওভার’ পেয়েছেন। সেজন্য প্রচার প্রচারণায় কোন গরজও দেখা যাচ্ছে না।
প্রচারণা শুরুর পাঁচদিন পরে জিএম কাদের রংপুর শহরে জাতীয় পার্টি কার্যালয়ের সামনে সীমিত আকারে একটি কর্মীসভা করেছেন। তার তরফ থেকে উল্লেখযোগ্য কোন জনসংযোগ চোখে পড়েনি। শহরে অল্পকিছু পোস্টার লাগানো ছাড়া অন্যকোন প্রচারণায় আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা।
এছাড়া বাকি পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে আনোয়ারা ইসলাম রানী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের জনসংযোগে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। শহরে যেসব পোস্টার রয়েছে সেগুলোর মধ্যে জিএম কাদের এবং আনোয়ারা ইসলাম রানীর পোস্টার বেশি। অন্য প্রার্থীদের পোস্টার কিংবা লিফলেট খুব একটা চোখে পড়েনি।
কয়েকজন প্রার্থীর পক্ষে শহরে অল্প সময়ের জন্য মাইকিং করতে দেখা গেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়ার কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। অন্য প্রার্থীরা জনসংযোগে সক্রিয় হচ্ছেন না কেন? বিষয়টি নিয়ে আনোয়ারা ইসলাম রানীর মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।
“শুধু আমি একাই মাঠে আছি, আর কোন প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখছি না। এটা কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? আসলেই কি সিলেকশন হয়ে আছে? যদি এরকমই হয় তাহলে আমাদের হয়রানি করার কী দরকার? নির্বাচন নিয়ে এই নাটক কেন?” প্রশ্ন তোলেন আনোয়ারা ইসলাম রানী।
উল্লেখ্য, রংপুর শহর এবং তার আশপাশের এলাকা নিয়ে রংপুর-৩ আসন গঠিত। এবার এ আসন থেকে প্রার্থী হয়েছেন মি. এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের নির্বাচনে রংপুর জেলার ছয়টি আসনের সবগুলোতে জাতীয় পার্টি জয়লাভ করে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে রংপুর জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের হাতে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা