৬ মাস পর মুক্তি পেল ১১ গরু, খরচ ১৩ লাখ টাকা

গরু
  © সংগৃহীত

১৯২ দিন (৬ মাস) নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছিল লাল-সাদা রঙের বিশাল আকৃতির ১১টি ভারতীয় গরু। মঙ্গলবার ঝিনাইদহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটে আদালত চত্বরে সেগুলো নিলামে বিক্রি করা হয়। 

জানাযায়, ২০২৩ সালের ২১ জুন গভীর রাতে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা নাটীমা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ১১টি ভারতীয় গরু আটক করে ঝিনাইদহ জেলা ডিবি পুলিশ । সে সময় আটক করা হয় মহেশপুর উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেন, মো. সাদিসহ তিন চোরাকারবারিকে। আটক তিন চোরাকারবারিকে কারাগারে পাঠানো হলেও ১১টি গরু নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় পুলিশ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আবু সায়েম জানান, আদালতের কাছে আটক গরুগুলো নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। কিন্তু গরুর মালিকানা দাবি করে দুই ব্যক্তি আদালতে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা চলতে থাকে।

ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল আদালত থেকে মামলা গড়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে। গরুর দাবিদার ওই দুই ব্যক্তি সঠিক কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। মামলায় হেরে যান তারা। এর আগেই গরুগুলো দেখ ভালের জন্য ঝিনাইদহ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজ কুমারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। সদর থানা চত্বরে একটি অস্থায়ী সেড নির্মাণ করেন তিনি। সেখানে গরুগুলোকে দেখভাল করা হতো।

মামলার তদন্তকারী আরও জানান, গরুগুলো পালন করতে এ পর্যন্ত পশু সম্পদ বিভাগ ১৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির জিয়াউর রহমান জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিন মাতুব্বর গরুগুলো নিলাম করার জন্য অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বৈজন্ত বিশ্বাসকে প্রধান করে তিন সদস্যর একটি নিলাম কমিটি গঠন করে দেন। নিলামে অংশ নিতে শতাধিক ক্রেতা জড়ো হয়েছিলেন আদালত চত্বরে।

নাজির আরও জানান, আজ মঙ্গলবার ওই কমিটির পক্ষ থেকে আদালত চত্বরে প্রকাশ্য নিলামে গরুগুলো ২১ লাখ ৪৩ হাজার ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হয়।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন— সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক আজম, মো. ওয়াজিদুর রহমান ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. গোলাম নবী।