নোয়াখালী-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নোয়াখালী
  © সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন এর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর, কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ, নৌকার প্রার্থীর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার (৩রা জানুয়ারী) স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহীনের নিজ বাস ভবন মাইজদীস্থ রশিদ কলোনির চেয়ারম্যান পার্কে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, সূবর্ণচর উপজেলার ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের কনিষ্ঠ পুত্র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার উদ্দিন খেলনের বাস ভবনে হামলা,পরবর্তীতে  নির্বাচনী গণসংযোগকালে তার গাড়ি বহরে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটলেও কোনো কার্যকর ভূমিকা নেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও নেওয়াজপুর ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান আমির হোসেন বাহাদুরের প্রত্যক্ষ মদদে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়িবহরের গতিরোধের চিত্র ধারণ করতে গেলে স্থানীয় এক গণমাধ্যম কর্মী কে এলোপাতাড়ি মেরে রক্তাক্ত জখম করে। সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান নাছের এর বাসভবনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এছাড়াও সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে নৌকা সমর্থিত স্থানীয় চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ইউনিয়নের চৌধুরীর হাট এলাকায় একটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে অফিসের দায়িত্ব থাকা এক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করেন। এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা রিটার্ণিং কর্মকর্তার নিকট সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবী জানান শাহীন।

এসময় পক্ষপাতমূলক আচরণের জন্য সূবর্ণচরের চরজব্বর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম কে প্রত্যাহারের আবদেন জানিয়েছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শিহাব উদ্দিন শাহীন। তিনি বলেন, সূবর্ণচরে কয়েকটি ঘটনা ঘটলেও তিনি কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে নেতাকর্মীরা শঙ্কিত।এবিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন,ওনার অভিযোগগুলো আমাকে জানিয়েছেন। এছাড়াও আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। আমি দেখছি বিষয়টা। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত যেটা আসবে আমি অবশ্যই তা পালন করবো। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। সত্যতা পেলে আমরা অবশ্যই ডিপার্টমেন্টাল ব্যবস্থা নিব।