সমগ্র যশোর নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে বললেন পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার

যশোর
  © সংগৃহীত

৭ তারিখের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে,যশোরের ৬ টি ঝুঁকিপূর্ণ আসনে কেন্দ্র ২৭৫টি, আর  নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর  থাকবে ১৬ হাজার সদস্য। এর মধ্যে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাদের মধ্য নির্ধারিত পুলিশ সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করবে।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের  এ তথ্য জানানপুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার । আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় যশোর পুলিশ লাইন মাঠে এক ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়। প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী ব্রিফিংয়ে সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশের ইন্সপেক্টর পদমর্যদার কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্য, আনসার বাহিনী ও ডিবি সদস্যরা অংশ নেন। এসময় পুলিশ সুপার,ভোটারদের শান্তিপূর্ণভাবে ভোটদানের ব্যবস্থা করা এবং শতভাগ নির্বাচনী সরঞ্জাম ও ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রক্ষার নির্দেশনা দেন। এছাড়াও নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে কোন প্রার্থী ও তার সমর্থকদের সাথে দুরত্ব বজায় রাখা ও ভোটের দিন দুপুরে শুকনা খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় ব্রিফিংয়ে। এজন্য প্রত্যেককে মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

ব্রিফিং শেষে পুলিশ সুপার বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করা হলেও আমরা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি না। পুরো যশোর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। নির্বাচনে নিরাপত্তা দিতে ২৫০০ পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার আনসার সদস্য, ৪৫০ বিজিবি সদস্য, সেনা সদস্য, ম্যাজিস্ট্রেটসহ গোয়েন্দা বাহিনীর ১৬ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, যেসব দুষ্টু প্রকৃতির লোক ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ নানা অপতৎপরতার চিন্তা করছে তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। ব্রিফিংয়ে পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও জেলা আনসার কমান্ডেন্ট সঞ্জয় সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্তিত ছিলেন।


মন্তব্য