নরসিংদীর ঘোড়াশালে ৭৫ কোরআন হাফেজ পেল সংবর্ধনা

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে ৭৫ জন পবিত্র কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা ও পাগড়ী প্রদান করা হয়েছে। ঘোড়াশাল পৌর এলাকার ভাগদী মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার পক্ষ থেকে বর্তমান ও সাবেক এসব হাফেজকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

গতকাল বুধবার (২৪ জানুয়ারী) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে ২৭ তম বার্ষিকী ওয়াজ মাহফিল। পরে রাত ১১টায় মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমীর সভাপতিত্বে ওই মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাফেজগণ  তাদের প্রিয় বিদ্যাপীঠ ভাগদী মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসায়। যেখানে রয়ে গেছে হাজারো স্মৃতি, যেখানে তাদের কোরআনের এলেম অর্জন করতে সহযোগিতা করেছেন শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দীর্ঘদিন দিন পর একে অপরকে কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। মাদ্রাসায় কাটানোর বহু স্মৃতি নিয়ে একে অপরের মাঝে চলে আলোচনা। প্রধান শিক্ষক, আমন্ত্রিত আলেম ও ভাগদী যুব শক্তি সংঘের পক্ষ্য থেকে সংবর্ধনা, পাগড়ী ও উপহার পেয়ে তারা আনন্দিত।

মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র মুফতি শায়েখ আমির হোসেন নোমানী, মুফতি আশরাফ আলী, হাফেজ কাউসার আহমেদ ও হাফেজ শামসুল হকসহ ছাত্ররা জানান, আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘদিন পর এই মাদ্রাসা এসে সবাইকে কাছে পেয়ে অনেক ভালো সময় কাটালাম। আমাদের সবাইকে একত্রিত করে সংবর্ধনা, পাগড়ী ও উপহার দেওয়ায় ধন্যবাদ জানাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে। এই মাদ্রাসা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমরা হাফেজ হয়ে বের হয়েছি। এই প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান। 

ভাগদী মদিনাতুল উলূম মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও ভাগদী শাহী জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মো: হেলাল উদ্দিন জানান, আলহামদুলিল্লাহ, আমার দায়িত্ব পালনকালে প্রায় শতাধিক ছাত্র এখান থেকে হাফেজ হয়ে বের হয়েছে। আর তাদের সবাইকে চেষ্টা করেছি একত্রিত করতে। কিন্তু কেউ কেউ দেশের বাহিরে থাকাসহ বিভিন্ন কারণে সবাইকে হাজির করতে পারেনি। অবশেষে ৭৫ জন কুরআনের হাফেজকে একত্রিত করে সংবর্ধনা, পাগড়ী ও উপহার প্রদান করা হয়েছে। আমি তাদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করি।আর এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আইয়ুব আলী সাহেবেসহ সবার জন্য দোয়া চাই।