পর্যটকদের জন্য সুখবর; বান্দরবানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক

বান্দরবান
  © ফাইল ছবি

বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) হুমকির মুখে গতকাল রবিবার থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। তবে বান্দরবানের এই তিন উপজেলায় আজ সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। 

পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এই প্রথমবার জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ধর্মঘট পালন করে। এতে চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়ে তিন উপজেলার স্থানীয় জনসাধারণ এবং পর্যটকেরা।

কেএনএফের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন ফ্লেমিং তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানায়, এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, সকল জাতি গোষ্ঠী-ধর্ম-বর্ণের কথা বিবেচনা করে এবং প্রশাসন ও বিভিন্ন দিক থেকে আশ্বস্তের কথা চিন্তা করে কেএনএফের ইমার্জেন্সি এক্সিকিউটিভ মিটিংয়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক চলমান যানবাহন ধর্মঘটটি প্রত্যাহার করা হলো।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার বাস টার্মিনালের টিকিট কাউন্টারগুলোতে স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীরা টিকিট কেটে গন্তব্যে আসা-যাওয়া করতে পারছেন।

বান্দরবান বাস মালিক সমিতির অফিস সহকারী মিলন দাশ বলেন, ‘আজ সকাল থেকেই যথারীতি আমাদের বাস টিকিট কাউন্টারগুলোতে সাধারণ যাত্রী এবং পর্যটকেরা টিকিট কেটে গন্তব্যে যেতে পারছেন।’

গতকাল প্রশাসনের সঙ্গে রুমায় কেএনএফের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা হওয়ার প্রেক্ষিতে তারা ধর্মঘট উঠিয়ে নিয়েছে বলে জানা যায়।।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রুমা উপজেলায় কেএনএফ সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যদের গুলিতে ২ নম্বর রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ড রিঝুক পাড়া এলাকায় এক যুবক আহত হয়। এর পর গত ১৪ ফেব্রুয়ারি নাগরিক সমাজের ব্যানারে কেএনএফের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় কয়েকটি ঘরবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায গতকাল রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পাহাড়ি সশস্ত্র সংগঠন (কেএনএফ) জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় ধর্মঘট পালন করে।