মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আগুন ও গোলাগুলি; বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক

মিয়ানমার
  © সংগৃৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে আবারও গোলাগুলির শব্দ এবং আরাকান রাজ্যে আগুনের কারণে আতঙ্কে রয়েছে এপারের বাসিন্দারা।

আজ (১ মার্চ) শনিবার সকালে শনিবার সকালে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য মিয়ানমারে আগুনের ধোঁয়া এপার থেকে দেখা গেছে। এতে সীমান্তের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

হ্নীলা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তারেক মাহমুদ রনি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ২০১৭ সালের পর আবারও দাউদাউ আগুনে পুড়ছে মিয়ানমারের আরকান রাজ্য। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের বিস্ফোরণগুলো এতই প্রকট যে, আমাদের ভবন পর্যন্ত কেঁপে উঠে।

মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানান তিনি।

গতকাল (১ মার্চ) শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই থেমে থেমে কক্সবাজার-মিয়ানমার সীমান্তে হ্নীলার ওপারে মিয়ানমার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।

সীমান্ত এলাকার বাবুল নামের লবণচাষি বলেন, কয়েকদিন পর পর মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলির শব্দগুলো আমাদের আতঙ্কিত করে তোলে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু সীমান্তের বাসিন্দা তাই ভয়ে থাকি; কখন গুলি বা মর্টার শেল আমাদের বাড়িতে এসে পড়ে। শুক্রবার মধ্যরাতে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। কিছুক্ষন পর আবার গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। আতঙ্কে আর ঘুম হয়নি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপারে শুক্রবার সারা রাত থেমে থেমে চলছিল মর্টার শেল ও গোলাগুলি। সকালেও সেটি থেমে থেমে চলমান ছিল। হ্নীলা চৌধুরীপাড়ার পূর্বে মায়ানমারে কালো ধোঁয়া দেখা যায়। বলতে পারছি না কখন শেষ হবে এ সংঘাত। দিন দিন আরও বাড়ছে, এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। মানুষ সব সময় আতঙ্কে রয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদক পাচার রোধসহ যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা সব সময় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। সীমান্ত নিরাপদে রাখতে বিজিবি রাত-দিন কাজ করছে।’