ফরিদপুরে হাসপাতালের অভ্যন্তরে গাঁজার বাগান!

ফরিদপুর
  © সংগৃহীত

শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল অভ্যন্তরে গাঁজার বাগানে পরিণত হয়েছে। যদিও কেউ বলছেন গাঁজার গাছ, কেউ বলছেন ভাংগাছ। তবে সবাই বলছেন দুটি গাছই নেশাজাতীয় গাছ। দিনের পর দিন কয়েকশ গাঁজার গাছ বেড়ে উঠলেও তা চোখে পড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।

একশ বছরের প্রাচীন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালটি গত কয়েক বছর যাবত ধুঁকছে নানা সমস্যায়। তারপরও জেলা সদরের মুজিব সড়কে অবস্থিত এ হাসপাতালে প্রতিদিন ভিড় করে চিকিৎসা নিতে আসেন কয়েকশ রোগী। রোগীর ভিড়ে হিমশিম খান ডাক্তাররা। এ কারণে হয়তো হাসপাতালের অভ্যন্তরে খেয়াল করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অভ্যন্তরে জনচলাচলের রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে কয়েকশ গাঁজা কিংবা ভাংগাছ। 

জেনারেল হাসপাতালের উত্তর দিকে স্টাফ কোয়ার্টারের পথের পাশে ও হাসপাতালের উত্তর পাশে শত শত গাঁজার গাছের বেড়ে ওঠা যেন কেউ দেখতে পাননি। অনেকে বলছেন, বছরের পর বছর ধরে এভাবেই গাঁজা কিংবা ভাংগাছগুলো বেড়ে উঠেছে।

হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় চার-পাঁচ বছর যাবত এই গাঁজার গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আগে আরও বেশি ছিল। অনেক গাছ কেটে তারা পরিষ্কার করেছেন। তারপর আবার হয়েছে। সবার সামনেই বেড়ে উঠেছে। কিছু ছেলেপুলে এগুলো ছিঁড়ে নিয়ে রস করে খায় বলে তাদের জানিয়েছে। এতে নাকি কাশি ভালো হয়।

তারা জানালেন, এমন গাছ হাসপাতালের অভ্যন্তরে রয়েছে। এছাড়া জেলখানার সড়কের পাশে, শহরের রাস্তার ধারে কিছু কিছু জায়গায় এ গাছের দেখা মেলে। তবে এ গাছগুলো অনেকটা দুপুরিয়া ফুলগাছের মতো দেখতে হওয়ায় ফুলগাছ ভেবে কাটা হয় না। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদকসেবী যুবক বলেন, এসব গাছের মধ্যে বেশিরভাগ ভাংগাছ। অনেক গাঁজাগাছও রয়েছে। তবে এত ছোট গাছ থেকে পাতা নিয়ে শুকিয়ে নেশা করা যায় না। গাছগুলো আরও বড় হয়ে পক্বতা পেলে তা দিয়ে নেশা করা যেতে পারে। 

এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন বলেন, গাছগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া মাঝে-মধ্যেই গাছগুলো কাটা হয়। আবার এমনিতেই গজিয়ে যায়। সময়মতো লেবার না পাওয়ায় এবার কাটতে দেরি হয়েছে।


মন্তব্য