৬ হাজার বস্তা সরকারি চাল নিয়ে ডুবল জাহাজ; ৮০০ বস্তা উদ্ধার

জাহাজডুবি
  © সময়

গতকাল রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুরের পর মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় চাল বোঝাই এমভি সাফিয়া নামক বাল্কহেডটি এমভি শাহজাদা-৬ নামের অপর একটি লাইটারের ধাক্কায় ডুবে যায়। মোংলা ও পশুর নদীর ত্রিমোহনায় ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এমভি সাফিয়া থেকে চাল উত্তোলন শুরু হয়েছে। 

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে ডুবুরি দল অপর একটি বাল্কহেডে চাল উত্তোলন শুরু করে। এদিকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৮০০ বস্তা চাল উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা নৌপুলিশের অফিসার ইনচার্জ এসআই সৈয়দ ফকরুল ইসলাম।

তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত ও নিখোঁজ হয়নি বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশ। এদিকে ধাক্কা দেওয়ার অপরাধে এমভি শাহজাদা-৬ কার্গো জাহাজটি এখনও নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এদিকে, পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জানায়, চালগুলো উত্তোলনের পর সরকারি নিয়ম মেনেই সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারি চালের সব ক্ষয়ক্ষতি বহন করবে পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলে জানায় ডুবন্ত বাল্কহেড কর্তৃপক্ষ।

নৌপুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ ফকরুল ইসলাম জানান, ঈদ উপলক্ষে গরিব অসহায়দের জন্য ৩১ মার্চ সকালে খুলনার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ৬ হাজার বস্তায় ১৭৫ টন চাল নিয়ে মোংলার খাদ্য গুদামের উদ্দেশে এমভি সাফিয়া নামের একটি বাল্কহেড ছেড়ে আসে। এরপর বাল্কহেডটি দুপুরের পর মোংলা বন্দরের পশুর নদী ও মোংলা নদীর ত্রিমোহনায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা এমভি শাহাজাদা-৬ নামের অপর একটি লাইটার ধাক্কা দিলে সরকারি চাল নিয়ে ডুবে যায় বাল্কহেড এমভি সাফিয়া। তবে এ সময় বাল্কহেডে থাকা ৫ স্টাফ-কর্মচারী সাঁতরে কূলে উঠে প্রাণে বেঁচে যান।

এ ঘটনায় এমভি শাহজাদা-৬ নামের লাইটারকে বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী নৌ ক্যানেল থেকে রোববার সন্ধ্যার পরে নৌপুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। বাল্কহেড মালিক বা অন্য কোনো পক্ষ মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।