তীব্র গরমে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ছে কুয়াকাটা!
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬ PM , আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৬ PM

গত কয়েকদিন ধরেই দেশে বেড়েই চলেছে তীব্র তাপমাত্রা। তীব্র এই তাপে বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে জনজীবন। অস্বাভাবিক তাপমাত্রা এবং অসহ্য গরমে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা। কোথাও নেই পর্যটকদের কোলাহল।
সৈকতজুড়ে শুধু ধু-ধু বালুচর। দীর্ঘ সরকারি ছুটিতেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পর্যটক। ফলে সৈকতজুড়ে বিরাজ করছে সুনসান নীরবতা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তারা বলেছেন, অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের কারণে এবার পর্যটক কমেছে। প্রতিদিন এখানে অনেক দর্শনার্থীদের আগমন হতো। সকাল, দুপুর, বিকাল কিংবা গভীর রাত পর্যন্ত পর্যটকদের পদচারণায় সাগরপাড় মুখরিত থাকতো। সাগরের ঢেউ গর্জন করে তীরে আঁছড়ে পড়ছে। দেখলে মনে হয় যেন এসব মনোরম দৃশ্য দেখার কেউ নেই। কিছু পর্যটক থাকলেও তারা দিনের বেলা হোটেল থেকে বের হচ্ছে না প্রচণ্ড গরমের কারণে।
এক হোটেল ম্যানেজার জানান, প্রচণ্ড গরমের কারণে কুয়াকাটা পর্যটক নেই। বর্তমানে হোটেলের বিদ্যুৎ বিল ও কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এক জেলে বলেন, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে সাগরে মাছ শিকার করি। কিন্তু প্রতিবছর এত তাপ থাকে না। চৈত্র-বৈশাখ মাসে দক্ষিণ কিংবা পূর্বে বাতাস হওয়ার কথা। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুয়াকাটায় বসবাস কঠিন হয়ে পড়ছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গরমে পর্যটক এসে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কিছু ট্যুরিস্ট আসছিল এরপর থেকে প্রচণ্ড গরমের কারণে বর্তমানে হোটেল-মোটেলের সিট ফাঁকা রয়েছে। সাগরের পাড়ে এসে মানুষ উত্তাপে টিকতে পারছে না। লবণাক্ত পানিতে শরীর শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। বেড়ি বাঁধে গাছপালা যা ছিল, কাজ করতে গিয়ে কেটে ফেলেছে।
খেপুপাড়া রাডার স্টেশনের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক মো. জিল্লুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ এ অবস্থা অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তাই তাপমাত্রা না কমা পর্যন্ত সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বরিশালের আশপাশে বৃষ্টি হলেও কুয়াকাটায় বৃষ্টি নেই।
আগামী এক সপ্তাহে বৃষ্টি না হলে অন্য সিমটম দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নচাপ কিংবা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে জানান তিনি।