বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে শায়খ আহমাদুল্লাহর নেতৃত্বে ইসতিসকার নামাজ আদায়

সারাদেশ
  © সংগৃৃহীত

এবার বৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে নামাজে অংশ নেন মুসল্লিরা।

নামাজে ইমামতি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। এতে শতাধিক মুসল্লি এই নামাজে অংশ নেন। নামাজের পর খুতবা ও দোয়া করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

এসময় তিনি বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। এখনই সচেতন না হলে সামনের দিনে আরও বিপদে পড়তে হবে। সবুজায়ন বাড়াতে সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বানও জানান তিনি।

এর আগে  তীব্র দাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বৃষ্টির প্রত্যাশা করে ‘ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় করেন স্থানীয়রা। নামাজ শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ মোনাজাত।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের খড়িলার বিলে খোলা আকাশের নিচে এ আয়োজন করা হয়। এতে ইউনিয়নের বল্লভপুর, রসুলপুর, ভবানীপুর, জোতমোড়া ও বরইচারা গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক মানুষ অংশ নেন।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন রসুলপুর মাদরাসার শিক্ষক মুফতি নাসির উদ্দিন আল ফরিদী। আগামী মঙ্গলবার ও বুধবার একই স্থানে সকাল ৮টায় বৃষ্টির জন্য নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান আয়োজকরা।

স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় প্রায় একমাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। নদী- নালা, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পেও। তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে। মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের ফসল নষ্ট হচ্ছে। শ্রমজীবী মানুষ রোদে বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে তারা বৃষ্টির জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনার আয়োজন করেছেন। নামাজে সবাইকে অংশ নেয়ার জন্য আগে থেকেই মাইকে প্রচার করা হয়েছিল।

কুমারখালী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগেরর কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, সকালে তাপমাত্রা থাকে ৩৩ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বিকেল ৩টার দিকে তা বেড়ে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যায়। আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।


মন্তব্য