নোয়াখালীতে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু

নোয়াখালী
  © সংগৃহীত

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের ওয়াসেকপুর গ্রামে সন্ধান পাওয়া নতুন গ্যাসকূপের খননকাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। কাজ শেষে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।  সোমবার সকাল থেকে ২ শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এই কূপ খননকাজ করছেন। কাজ চলবে ১২০ দিন। 

দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্কওভার কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাপেক্স বলছে, এই কূপটি খননের আগে বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম গ্যাসকূপের সন্ধান মেলে। এরপর ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দুটি কূপে কোনো গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং তা থেকে গ্যাস উৎপাদনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্কওভার (আক্রমণাত্মক কৌশল) চালিয়ে এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ ও বাপেক্সের কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর চারটি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে। 

নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন, এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়ে দেশের সমৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।


মন্তব্য