কালবৈশাখি ঝড়ে লন্ডভন্ড শ্রীমঙ্গল; উড়ে গেছে কয়েকশ' গাছ

শ্রীমঙ্গল
  © সংগৃহীত

গত এক সপ্তাহের অধিক সময় ধরেই সারাদেশে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। দীব্র গরমে হিটস্ট্রোকে সারাদেশে ৪০ জনের অধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় নলকূপে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছে অনেক মানুষ। এর মধ্যেই মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিলাবৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাছপালা উপড়ে গেছে, বিভিন্ন স্থানে ভেঙেছে বিদ্যুতের খুঁটি।

আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে হঠাৎ মৌলভীবাজার জেলা দিয়ে ঝড় বয়ে যায়। এতে মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে অনেকের বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গাছ-বাঁশ ঘরের ওপরে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল শহরে শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। সড়কে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। শহরের দোকান পাটের চাল উড়ে গেছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অসংখ্য বড় বড় গাছ।

শ্রীমঙ্গল পরে শহরের বাসিন্দা মামুন আহমদ বলেন, হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় আসে। এতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় শ্রীমঙ্গল শহর। এতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। কয়েক শ গাছ ভেঙে পড়ে। মানুষ ঘরের টিন, দোকানের টিন উড়ে গেছে।

মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, গতরাতের ঝড়ে বড়লেখা উপজেলায় অন্তত ২০টি খুঁটি ভেঙে পড়ে গেছে। শাহবাজপুর এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। অন্যান্য এলাকায় ক্রমান্বয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। আজ বিকেলে শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবল ঝড়বৃষ্টি বয়ে যায়। ফলে বর্তমানে ওই দুই উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ আছে। সবাইকে আরেকটু ধৈর্যের সঙ্গে অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করা হলো। 


মন্তব্য