যশোরে নিখোঁজের একদিন পর ইজিবাইকচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

যশোর
  © টিবিএম ফটো

যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া, সদুল্ল্যাপুর ভৈরবের শাখা নদী থেকে অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগের নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে স্থানীয়রা নদীর পাড়ে ধান কাটতে গিয়ে দেখে নদীতে ভাসমান অবস্থায় বস্তাবন্দি একটি মানুষের আকৃতি। তখন স্থানীয় বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে খবর দিলে পুলিশ এসে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর বেলা ১১ টায় পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় লাশ উদ্ধারের পর যশোর পিবিআই ও ডিবি পুলিশের সহায়তায় নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইমনকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করেছে দুর্বিত্তরা। পরবর্তিতে ইমনের লাশ নদীতে ফেলে চলে যায় তারা। ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে।

নিহতের বাবা আবুল কালাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি।  ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বাইক স্ট্যান্ডে খোজ নিলে অন্য চালকরা জানায়, সবশেষে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। এঘটনায় আবুল কালাম সোমবার সন্ধ্যায় অভয়নগর থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। শেষমেষ পুলিশের কাছথেকে ছেলের মৃত্যুর খবর তারা জানতে পেরেছেন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল সাড়ে নয়টায় নদীর পাড় থেকে প্রচন্ড দূর্গন্ধ পান। পরবর্তীকে তারা একটি বস্তায় ভরা এক যুবকের লাশ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে। মুহুর্তের মধ্যে পুলিশ।

এঘটনায় কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হয় ইমন। এঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে আজ সকালে বসুন্দিয়ায় একটি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার হয়। পরে,পিবিআই,ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তিতে ফিঙ্গার প্রিন্ট ও নিহতের প্যান্টের পকেট থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। সেই মোবাইলের মাধ্যমে ইজিবাইক চালক ইমনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ইমনের পরিবারের সদস্যরা এসে পরিচয় শনাক্ত করেন। লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যা করা হয়েছে ইমনকে। পরে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে নদীতে। পুলিশের একাধিক টিম এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আর উপস্থিত ছিলেন বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল। বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আসাদুজ্জামানসহ স্থানীয় এবং দূর-দূরান্ত থেকে আগত কয়েকশো নারী পুরুষ।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ