প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২৯ লাখ টাকা আদায়; গ্রেপ্তার ৭ প্রতারক

প্রতারণা
  © সংগৃহীত

প্রেমের ফাঁদে ফেলে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেন একটি চক্র। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং এর মাধ্যমে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করেছে তারা। এরপর ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

প্রতারণার সময় আটককৃতরা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকদের পরিচয় দিয়ে বিশাল অঙ্কের টাকা আদায় করে আসছিল। 

আজ শনিবার (৪ মে) সকালে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
 
ভুক্তভোগীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।  এ সময়ে চাঁদা আদায়ের জন্য ব্যবহৃত ভুক্তভোগের স্বাক্ষরিত সাতটি অলিখিত স্টাম্প, স্বাক্ষরিত সাতটি খালি ব্যাংক চেক উদ্ধার করে পুলিশ।  

গ্রেপ্তার প্রতারক চক্রের সদস্যরা হলেন- ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয় দেওয়া সৈয়দ আয়াত উল্যাহ ও ইমরান হোসেন, ভুয়া সাংবাদিক পরিচয় দেওয়া মো. মোজাম্মেল হক, চাঁদা আদায়কারী মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, গোপন ভিডিও ধারণ ও পরিকল্পনাকারী আব্দুর রহিম, বাসার মালিক মোহাম্মদ কোভিদ হোসেন ও পুরো ঘটনার মাস্টারমাইন্ড তাসনুভা আক্তার। 

পুলিশ সুপার জানান আব্দুল মান্নান, কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার এলাকার এক ব্যক্তিকে মোবাইলে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন তাসনুভা আক্তার। পরে পরিকল্পনা করে ওই ব্যক্তিকে কুমিল্লা সদর উপজেলার বালুতোপা এলাকার একটি বাসায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এ সময়ে ঘটনাস্থলেই ডিবি পুলিশ ও সাংবাদিকের উপস্থিতি দেখিয়ে শুরু হয় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কৌশল। 

ধারণকৃত ভিডিও ছেলের মোবাইলে পাঠিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে প্রতারক চক্র। সম্মানহানির কথা চিন্তা করে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে প্রতারক চক্রকে ২৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দেয় ভুক্তভোগী। পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ওই ভুক্তভোগী। পরে তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় এই প্রতারক চক্রটিকে বলে জানান পুলিশ সুপার।


মন্তব্য