ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাচনে  চেয়ারম্যান  নাজিম,ভাইস চেয়ারম্যান জসিম,মহিলা নুপুরের জয়

নির্বাচনে
  © সংগৃহীত

মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামের  ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নাজিম উদ্দীন মুহুরী, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোঃ জসিম উদ্দিন এবং ভাইস চেয়ারম্যান ( মহিলা) পদে শারমিন আক্তার নুপুর বিজয় অর্জন করেছেন।

 নির্বাচনে লড়েছেন ৮ জন প্রার্থী। সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।


নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে  ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী ১৭ হাজার ৯৯৮ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন তিনি।

 নাজিমুদ্দিন মুহুরী মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ১৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বখতেয়ার সাঈদ (ইরান) আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৬৭ ভোট। এ উপজেলায় মোট ২২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়।

 

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জসিম উদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩২ হাজার ৮৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এড.সালামত উল্লাহ চৌধুরী পেয়েছেন ২৯ হাজার ৮৬৭ ভোট। এছাড়া তালা প্রতীকে সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কৌরাইশী পেয়েছেন ২০ হাজার ৩৭৯ ভোট এবং মো: নাজিম উদ্দিন সিদ্দিকী চশমা প্রতীকে পেয়েছে ১২ হাজার ১১ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মহিলা নেত্রী শারমীন আক্তার নুপুর ৫৪ হাজার ৮৫৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন্নাহার মুক্তা পেয়েছেন ৪১ হাজার ৭৫ ভোট।


উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুণ উদয় ত্রিপুরা বলেন, ‘অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদন্ধিতা করেছেন। উপজেলার মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৬০৭ জন। মোট ১৪২টি ভোট কেন্দ্রে সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। 


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে প্রশাসনের বদ্ধ পরিকর ছিল। ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ, আনসার সদস্যের পাশাপাশি র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন ছিল। ফলে উৎসবমুখর পরিবেশে এবং নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ  সম্পন্ন হয়।
 
মোট ভোট কেন্দ্র ছিল ১৪২টি। বুথ ১০০২টি।প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১৪২ (এক শত বিয়াল্লিশ)জন।সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ১০০২(এক হাজার দুই) জন। পুলিং কর্মকর্তা ২০০৪(দুই হাজার চার) জন।  RAB ১প্লাটুন,বিজিবি ৬প্লাটুন, পুলিশ ১০০০,আনসার ২০০০,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-২৬ জন, বিজিবি স্টাইকিং ফোর্সেস, পুলিশ স্টাইকিং ফোর্স মাঠে কাজ করেছেন।