তেঁতুলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সরবরাহ

তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সরবরাহের অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পাতিবার (২৩মে) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও অভিযোগকারী আজিজুল হক মামুন (৩৬) সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে বিষয়টি জানা যায়।

আজিজুল হক বলেন, গত মঙ্গলবার (২১মে) সকাল ১০টা ৩০মিনিটে আমার পা কেটে গেলে হাসপাতালে ডাক্তারকে দেখাতে সিলিপ নিয়ে ঔষুধ নিতে গেছিলাম। সেই সিলিপে যেসব ঔষুধ লিখে দেন তা নিয়ে বাড়িতে যায়। আমাকে দিয়েছিল টেট্রাসাইক্লিন, প্যারাসিটামল, এন্টাসিড এগুলা নিয়ে দুপুরে খাইছি ১বার রাতে ১বার  আবার সকালে খাওয়ার সময় দেখতেছি টেট্রাসাইক্লিন এর মেয়াদ মার্চ/২০২৪ দুই মাস আগে এর মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এটা দেখে ইউএনও স্যারকে ফোন দেই পরে স্যার আমাকে ডেকে তেঁতুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের ডাক্তারকে আমার হাতে সিলিপ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ গুলো নিয়ে উনাদেরকে দেখালো পরে ইউএনও স্যার সিলিপটা দিয়ে বাহির হতে ঔষধ কিনে দেন এবং চা খাওয়ান এবং বললেন বিষয়টা আমি দেখতেছি বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরএমও ডাক্তার রাজিনুর হকের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি মনে করি এটি তাদের অবহেলার কারণে হয়েছে। সেই জায়গায় যে দায়িত্বে থাকুক তাকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে। যারা দায়িত্বে ছিলো তাদের তেমন অভিঙ্গতা হয় নাই তারা নতুন মাত্র জয়েন্ট করেছে। মূলত- স্টোরকিপারের দায়িত্ব তিনি ৬মাস পরপর পরির্বতন করেন, তিনি দেখে দিলে এমনটি হতো না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে রাব্বি বলেন, এরকম অনেক অভিযোগ পেয়েছি, আজকে তো বন্ধের দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যে স্টোরকিপার দায়িত্বে আছে তাকে আমি খোঁজ করেছি পাইনি। সে আসলে আমার সাথে দেখা করতে বলেছি। বিষয়টি ইতিমধ্যে সিভিল সার্জন স্যারকে জানানো হয়েছে উনারা উনাদের মত করে ব্যবস্থা নেবেন।