ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় জেলা বরগুনা

রিমাল
  © সংগৃহীত

গতকাল রবিবার (২৬ মে) রাত আটটার পর থেকেই দেশের উপকূলে তাণ্ডব চালিয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এই ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে উপকূলী জেলা বরগুনার নদী তীরবর্তী অঞ্চলগুলো। বরগুনাবাসীর হাহাকার যেন আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় জেলা বরগুনা

বরগুনা জেলা যেহেতু ৪ দিকেই নদী বেষ্টিত অঞ্চল সেহেতু ক্ষতির মাত্রাও তীব্র আকার ধারণ করেছে। 

এর মধ্যে শহরটির বিদ্যুৎ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রচণ্ড বাতাসের গতিবেগের কারণে গাছ পড়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো অচল হয়ে পড়েছে।

ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় জেলা বরগুনা

ঝড়ের বেগ কমলেও প্রচণ্ড বাতাসের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের বেশিরভাগ কাঁঠের বসতবাড়িগুলো ভেঙে পড়ে গেছে। 

এছাড়াও বাতাসের প্রচণ্ড গতিবেগের কারণে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনাগুলোতে গাছ পড়ে ভেঙে অচল হয়ে গেছে।

ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় জেলা বরগুনা  

নদীর তীরবর্তী প্রধান সড়ক, মহাসড়ক গুলো ঘূর্ণিঝড়ের জলোচ্ছ্বাসের চাপে ভেঙে পড়েছে।

এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা জানা যায়নি। তবে জেলা প্রশাসন এ বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় জেলা বরগুনা

এদিকে রিমালের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের কারণে পানিবন্দি হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এসব পানিবন্দি মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এর মধ্যে অন্যতম হলো CPP, রেড ক্রিসেন্ট, বিডি ক্লিন, লোভার স্কাউট এবং শহরে অবস্থিত নানান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। 

ঘুর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতবিক্ষত উপকূলীয় জেলা বরগুনা

জেলা প্রশাসন ও বরগুনার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি মানুষদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে।