সিলেটে নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে; যেকোন সময় বন্যার শঙ্কা!

সিলেট
  © সংগৃহীত

এমনিতেই দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয় উত্তর-পূর্ব জেলা সিলেট। এর ওপর ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে নদনদীর পানি বাড়ছে। বুধবার (২৯ মে) দুপুর ১২টায় সিলেটে প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারাসহ তিন নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে। আরও কয়েকটি পয়েন্টে নদনদীর পানি বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ বুধবার (২৯ মে) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পাউবো জানায়, বুধবার দুপুর ১২টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্ট ১৩ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর পানি অমলশীদ পয়েন্টে ১৫ দশমিক ৭৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারার অমলশীদ এলাকায় বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০।

এছাড়া সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১২ দমশিক ৩৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে বুধবার দুপুর ১২টায় ১২ দশমিক ৮৮ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।

এ তিন নদী ছাড়াও লোভাছড়া, পিয়াইন ও ধলাই নদীর পানিও বেড়েছে অন্তত ৬-৭ সেন্টিমিটার করে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ভারতের আসামেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সে দেশটির আবহাওয়া অফিস। সেই হিসাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সিলেটে যে কোন সময় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সত্যেন্দ্র বৈদ্য বলেন, উজানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সিলেটের নদনদীর পান বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বুধবার দুপুরে তিনটি নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, মৌলভীবাজারের মনু নদীর পানি সকালে বিপৎসীমার ওপরে ছিল। দুপুরে বিপৎসীমার কিছুটা নিচে নেমে এসেছে।

উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিবছরই ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। এতে প্রাণহানী ও শত শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয় জেলার মানুষ।