০৫ জুন ২০২৪, ২০:২৭

কুরবানির পশু বিক্রির তিন কোটি টাকা এতিমখানায় দিতে চান যে ব্যক্তি!

  © ফাইল ছবি

গত ঈদুল আজহায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের (সদর-বন্দর) সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের মালিকানাধীন ফাইভ স্টার এগ্রো ফার্মের ৪শ কুরবানির পশু বিক্রি করে আয় হয়েছিল ৪ কোটি টাকা। এ টাকায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নবীগঞ্জ এলাকায় একটি আধুনিক এতিমখানা নির্মাণ করা হয়। এবারো পশু বিক্রির ৩ কোটি টাকা দেওয়া হবে এই এতিমখানায়। এতিম শিশুদের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ায় ব্যয় হবে এই টাকা।   

শখের বসে প্রথমে ছাগল পালন শুরু করেছিলেন বিকেএমইএর সভাপতি ও উইসডোম অ্যাটায়ার্স গার্মেন্টসের মালিক সেলিম ওসমান। শখ থেকে এখন পেশায় পরিণত হয়েছে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ ও খুলনায় দুটি খামার রয়েছে তার। এ থেকে অর্জিত অর্থ ব্যয় করছেন নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজে। পশু বিক্রির টাকায় এক দশকে ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন তিনি। বৈশ্বিক মন্দার কথা চিন্তা করে এবার কোনো মুনাফা ছাড়াই শুধু লালন-পালনের খরচ রেখে পশু বিক্রি করছেন সেলিম ওসমান।

জানা গেছে, ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরের ফাইভ স্টার এগ্রো ফার্মে এবার কুরবানির ঈদ উপলক্ষে শাহিওয়াল, পাকড়া, ফ্রিজিয়ান, ব্রাহমা, দেশীয় গরু, ভুট্টি গরু, মহিষ, ছাগল ও গাড়লসহ ৩শ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। লাভ ছাড়াই গরুর দাম কেজিপ্রতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন সেলিম ওসমান। লাইভ ওয়েট অনুযায়ী ৩০০-৩৯৯ কেজি ওজনের পশুর দাম প্রতি কেজি ৪৮৫ টাকা, ৪০০-৪৯৯ কেজি পশুর দাম প্রতি কেজি ৫২৫ টাকা ও ৫০০-৬০০ কেজির বেশি ওজনের পশু প্রতি কেজি ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গাড়ল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা।

সেলিম ওসমান বলেন, আমার এখানে এক লাখ থেকে শুরু করে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন জাতের গরু আছে। এই গরু থেকে এবার লাভ করার কোনো চিন্তা করছি না। শুধু কাস্টিং যেটা আছে সেই দামেই আমরা গরু বিক্রি করছি। সেভাবেই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, এটা প্রথমে শখ ছিল; এখন পেশা। পশু বিক্রির টাকা আমি ব্যক্তিগত কাজে লাগাইনি কখনো। এটা দিয়ে আমি চেষ্টা করেছি সমাজে কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য। এই টাকা দিয়ে আমি বেশ কয়েকটি স্কুল নির্মাণ করতে পেরেছি। গতবার একটি এতিমখানার কাজ শুরু করেছিলাম। এবারের টাকাটাও ওই এতিমখানায় যাবে।