ভারতের পানিতে ভাঙলো বাংলাদেশের বেড়িবাঁধ

পানি
  © ইনডিপেনডেন্ট

বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপ্রবন এলাকা ভারতের চেরাপুঞ্জি। সেখানে বেশ কয়েকদিন ধরে অস্বাভাবিক অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি আসছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদী দিয়ে। ফলে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পাহাড়ি ঢলের পানি এসে জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া-লক্ষ্মীপুরের একটি বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। 

বাঁধ ভাঙায় লক্ষ্মীপুর, নোয়াপাড়া, রসরাই, সুলতানপুর, হাছনবাহার গ্রামের দিকে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্তত ৫ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি উঠেছে বিভিন্ন বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। শনিবার দুপুরে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল এসে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে, সুরমা নদীর সুনামগঞ্জ পয়েন্টেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যার শঙ্কায় আছেন বাসিন্দারা। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের খরচার হাওর পাড়ের অধিকাংশ বসতভিটার সামনে পানি চলে আসায় দুর্ভোগে হাজারো মানুষ।

রাধানগর গ্রামের এক বাসিন্দা জানালেন, ‘হাওরের পাড়ে বাড়ি আমার। বাচ্চা–কাচ্চা নিয়া বড় বিপদে আছি। সকাল থাইকা পানি বাড়ি গেছে।’

লালপুর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘বাড়ির সামনে পানি চলে এসেছে। আরেকটু পানি বাড়লেই ঘরে পানি চলে আসবে। আমরা বের হতে পারছি না ঘর থেকে।’

অন্য এক বাসিন্দা জানান, প্রতিবছরই পাহাড়ি ঢলে বন্যা হয়। তবে এগুলো দেখার তেমন কেউ নেই।

পানি যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে বৃদ্ধি পেলে সকল নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।


মন্তব্য


সর্বশেষ সংবাদ