তিস্তার পানি বেড়ে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

তিস্তা
  © সংগৃহিত

ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ছে তিস্তা অববাহিকায়। পানির চাপে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ফলে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা ।

 

শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদীর পানিতে তলিয়ে গেছে চরাঞ্চলের ফসলি জমি। পানিতে ডুবে গেছে সদর উপজেলার কালমাটি, বাগডোরা, খুনিয়াগাছ, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধনসহ কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল । পানি উঠে গেছে অন্তত ৫০০ ঘরবাড়িতে। আকস্মিক বন্যায় বাড়িঘর-রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় রান্নাবান্নাসহ চলাচলে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার সাধারণ মানুষ।

 

সদর উপজেলার কুষক রহমত আলী জানান, চর এলাকায় তিস্তার পানিতে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।খুব বিপদে আছি।

 

হাতীবান্ধা উপজেলার কৃষক মকবুল হোসেন জানান, তিস্তার পানিতে কৃষি জমি তলিয়ে গেছে। ফসল তোলার সময় পাইনি। হঠাৎ বন্যার পানিতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। কি করবো বুঝে উঠতে পারছি না।সরকার যদি নজর না দেয় তাহলে আমরা এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবো না।

 

সিন্দুর্না ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম আরিফ গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ইউনিয়নের চর এলাকায় কিছু কিছু ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।

 

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে ভোর থেকে তিস্তার পানি বাড়তে থাকে। তবে বিকেল থেকে আবার কমতে শুরু করেছে। আমরা নজর রাখছি।





মন্তব্য