ফের বাড়ছে পানি, অসহনীয় কষ্ট বানভাসিদের

কুড়িগ্রামে
  © সংগৃৃহীত

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে বইছে। জেলায় ৯টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি মানুষ গত ১০ দিন ধরে অসহনীয় কষ্টে দিন পার করছেন। এখন পানি বাড়তে শুরু করায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।

অনেকের বাড়িঘরে পানি থাকায় নৌকা বা উঁচু স্থানে থাকছেন। শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি আর গবাদিপশুর খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। জ্বালানির অভাবে চুলা জ্বলছে না। পাশাপাশি গো-খাদ্যের সংকট থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বানভাসিরা।

এদিকে বন্যার পানির কারণে রাস্তা ঘাট তলিয়ে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। চলতি বন্যায় নাগেশ্বরী উপজেলার দুটি বাঁধের দুই স্থানে ভেঙে যাওয়ায় ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফসান বলেন, বৃহস্পতিবার ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পাঁচটি পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের রলাকাটা গ্রামের আজগার আলী বলেন, “টানা দশ দিন ধরে ঘরে বাইরে পানি। মাচার উপর ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে আছি। “কাজ কামাই নাই, হাতে টাকা নেই, খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট, চরম কষ্ট প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যাওয়া বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধ সদস্যদের নিয়ে। নানামুখী সমস্যা আর দুর্ভোগে কি করি কোথায় যাই।”

আরেক বাসিন্দা নুর মামুন বলেন, “পানি কমে আবার বাড়তেছে। একই তো আমাদের দুর্ভোগ, তার উপর গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছি। গরু কতক্ষণ পানিতে দাড়িয়ে থাকতে পারে বলেন? দুরে এক জায়গায় রেখে আসবো, চুরির ভয়ে সে ভরসা পাই না।”

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার বন্যা কবলিতদের জন্য এখন পর্যন্ত ৫৪২ মেট্রিকটন চাল, ৩২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ২৩ হাজার ১২০ প্যাকেট শুকনো খাবার ৯ উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। তবে গো খাদ্যের কোনো বরাদ্দ নেই।