বিয়ের দাবীতে দুমকী উপজেলা  ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে যুবতীর অবস্থান 

পটুয়াখালী
  © টিবিএম

পটুয়াখালীর দুমকীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিব মৃধার বাড়িতে বিয়ের দাবীতে অবস্থান নিয়েছে দুমকি সরাকারি জনতা কলেজের এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থী তানজিমা রহমান অর্ণা(১৯) নামের এক যুবতী। সে পার্শ্ববর্তী বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠী গ্রামের মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাবিকুন্নাহার দম্পতির মেয়ে। অপরদিকে রাকিব উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের মোঃ রফিকুল ইসলাম মৃধার ছেলে। 

বৃহস্পতিবার(১৮ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রাকিব মৃধার বাড়িতে অবস্থান করেছে ওই যুবতী। ভুক্তভোগী তরুনী অর্ণা  জানান, দীর্ঘ এক বছর পূর্বে তার সাথে রাকিবের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরক্ষনে বরিশাল, পটুয়াখালী ও কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন স্থানে বিয়ের প্রলভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় রাকিব। কয়েকদিন পূর্বে রাকিবকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তালবাহানা ও নানা অজুহাত দেখাতে শুরু করে। উপায়ন্তর না পেয়ে (১৬ জুলাই) মঙ্গলবার রাকিবের বাসায় অবস্থান নেয়। 

বিষয়টি জানাজানি হলে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ আপোষ-মিমাংসা ও বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে রাকিবের বাড়ি থেকে পটুয়াখালী নিয়ে যান। কিন্তু দলীয় পদ-পদবী হারানোর ভয়ে এক বছর পরে বিয়ের প্রতিশ্রতি দেয় বলে জানিয়েছেন ওই তরুনী। রাকিবের মিথ্যা আশ্বাস বুঝতে পেরে (১৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার আবারও সকাল থেকে পুনরায় রাকিবের বাড়িতে অবস্থান নেয়। তরুনীর অবস্থান টের পেয়ে রাকিব ও তার পরিবার বসতঘরে তালা লাগিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। যতক্ষন পর্যন্ত রাকিব ও তার পরিবার বিয়ের মর্যাদা না দিবে ততক্ষন পর্যন্ত বসতবাড়ির সামনেই অবস্থানসহ আত্মহত্যারও হুমকী দেন ওই যুবতী। সরেজমিনে বাড়িতে গিয়ে তালা লাগানো অবস্থায় বসতঘরের সামনেই তরুনীকে অবস্থান করতে দেখা যায়। এবিষয়ে একাধিকবার রাকিবের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। 

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সহিদুল আলম হাওলাদার জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিব মৃধা'র মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও কোন সারা পাওয়া যায় নি। 

শ্রীরামপুর ইউপি চেয়াম্যান মোঃ আজাহার আলী মৃধা জানান, বিষয়টি তিনি লোকমুখে শুনেছেন। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। দদুমকী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছি। তবে কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।