হবিগঞ্জে

পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ, আ.লীগের কার্যালয়ে আগুন ও এমপির বাসায় হামলা নিহত ১

হবিগঞ্জ
  © টিবিএম

‌বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে একজন নিহত হয়েছেন।শুক্রবার বিকেলে হবিগঞ্জ শহরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তাক মিয়া (২৪)। তিনি পেশায় শ্রমিক। মোস্তাকের সঙ্গে কাজ করেন মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, মোস্তাক এখানে জুতা কিনতে এসেছিল। এসে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যায়। গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক বলেন, মোস্তাকের হাতে বড় ধরনের আঘাত ছিল। সেটা গুলি কি না, পরে জানানো যাবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’–এর অংশ হিসেবে জুমার নামাজের পর হবিগঞ্জে শহরের কোর্ট মসজিদের সামনে অবস্থান নেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ শহরের কোর্ট মসজিদ এলাকায় শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিলে পূর্বে থেকেই টাউন হল এলাকায় অবস্থান নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মিছিলে যোগ দিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন জেলা ছাত্রদল ও অন্য দলের নেতা-কর্মীরা।

এরপর মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টাউন হল এলাকায় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে সেখানে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। এ ছাড়া তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের বাসায় হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

এ সময় পুলিশ সেখানে এলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ গুলি চালানোর পরে দুই দিক দিয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশের দিকে আসতে থাকেন। তবে, এখন পর্যন্ত আর কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।