কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থী রিতার নির্মম মৃত্যু

কালাই উপজেলা
  © সংগৃহিত

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে এক মর্মান্তিক ঘটনায় শিক্ষার্থী রিতা আক্তার (১৬) প্রাণ হারিয়েছেন। গত ৫ই আগস্ট দুপুর ১২টায় মিরপুর-২ এলাকায় ওভার ব্রিজে অবস্থানকালে মাথায় গুলিবিদ্ধ হন রিতা। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর বিকাল ৪টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত রিতা জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনুট ইউনিয়নের তালখুর গ্রামের বাসিন্দা আশরাফ আলীর মেয়ে। ঢাকার মিরপুর-২ এলাকায় পরিবারসহ বসবাস করতেন রিতা। তার বাবা আশরাফ আলী জানান, এ বছর রিতা ভূগোইল হিজবুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষা দিয়ে ভালো ফলাফল করে। পড়াশোনা করে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। অভাবের সংসারে মেয়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য পরিবারসহ ঢাকায় আসেন আশরাফ আলী। রিতাকে দুয়ারীপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয় কলেজে ইন্টারমিডিয়েট ভর্তি করান তিনি। রিতার পড়াশোনার খরচ জোগানোর জন্য তিনি রিকশা চালান এবং তার স্ত্রী অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করেন।

৫ই আগস্ট, কোটা আন্দোলনকারীদের মিছিলে যুক্ত হয়ে ওভার ব্রিজে অবস্থানকালে পুলিশ গুলি চালালে রিতা মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। রিতার বাবা আশরাফ আলী দেশবাসীর কাছে তার মেয়ের মৃত্যুর বিচার দাবি করেন। ৬ই আগস্ট দুপুর ২টায় রিতাকে তার গ্রামের বাড়িতে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।