সিরাজগঞ্জে লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জামায়াতের প্রচারণা
- মোঃ রবিউল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
- প্রকাশ: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ PM , আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১২:০১ PM

সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রচারণা ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার এ কর্মসূচী পালন করা হয়।
উক্ত সমাবেশ ও প্রচারনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য এবং বাগবাটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাবেক ছাত্র নেতা মাওলানা মোঃ ছানোয়ার হোসেন।
ইউনিয়ন সেক্রেটারি মোঃ নাজমুল ইসলামের পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামি ছাত্র শিবির সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সেক্রেটারি কাওসার তালুকদার, নাজমুল ইসলাম সহ অন্যান্য জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথি মাওলানা ছানোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, সরকারের শুন্যতায় যারা লুটপাট ও চাঁদাবাজি করছে তারা দেশ ও জাতির শত্রু। যারা লুটপাট, চাঁদাবাজি ও সংখ্যা লগুদের উপর নির্যাতন করবে তাদের ধরিয়ে দিন, আইনের হাতে সোপর্দ করুন। এ ধরনের অপকর্ম কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গরে তুলব। স্থানীয় দোকান মালিকদের নির্ভয়ে দোকান খুলে ব্যবসায়িক কাজ পরিচালনা করতে বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিবির সভাপতি মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, কোন ভাবেই লুটপাট ও চাঁদাবাজি করা যাবে না। এগুলো বন্ধ করতে হবে। তিনি আরও বলেন সংখ্যা লঘুদের উপর নির্যাতন করা যাবে না। তাদের জান মালের নিরাপত্তা দিতে হবে। ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরও বলেন বিগত সরকারের আমলে প্রশাসনের ছত্রছায়ায় যেভাবে মাদকের ছয়লাব হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তিনি তরুণ ছাত্র সমাজকে মাদকের হাত থেকে বাচাতে বর্তমান সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান।
এরপর জামায়াত নেতা মাওলানা ছানোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে বাজারের বিভিন্ন দোকান পাটে ঘুরে ঘুরে ব্যবসায়ীদের অভয় দেন, এবং বলেন আপনারা দোকান পাট খুলে নির্ভয়ে ব্যবসা করেন। কেও লুটপাট বা চাদা দাবি করলে আমাদের জানান, আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এরকম প্রচারনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অত্যান্ত খুশি। তারা এখন দোকান পাট খুলে ব্যবসা করছে। এখন পরিবেশ অনেকটা স্বাভাবিক হতে চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় এ রকম জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচী পালন করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামি ছাত্র শিবির।