নোয়াখালীতে আন্দোলনকারী এক সদস্যসহ নিরীহ ৩ পরিবারের ঘর পোড়ালো বিএনপি নেতা; অভিযোগ ভুক্তভোগীদের
- নোয়াখালী প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৪ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৪ PM

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চাঁদা না পেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী এক সদস্যসহ নিরীহ ৩ ভূমিহীন পরিবারের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। প্রধান অভিযুক্ত মো. আলমগীর হোসেন সুবর্নচর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি বলে জানা গেছে। আজ মঙ্গলবার(১৩ই আগস্ট) সকালে নোয়াখালী জেলা শহর মা'ইজদীর একটি হল রুমে সংবাদ সম্মেলন করে এসব বিষয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জানায়, সুবর্ণচর উপজেলার কথিত বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন তার ভাগিনা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির প্রভাব বিস্তার করে এলাকায় ভূমিহীনদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন যাবত চাঁদা আদায় করে আসছেন। গত ৬ মাস পূর্বে ভুক্তভোগী ভূমিহীন দেলোয়ার হোসেন, আবদুল মন্নান, মহিন উদ্দিন, শামীম হোসেন ও মো. সফিকের নিকট থেকে ৪ লক্ষ টাকা চাঁদা নেয়। ভুক্তভোগীরা নিরীহ হওয়ায় প্রাণ ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহস পাননি।
তারা বলেন, সম্প্রতি কোটা সংস্কারের জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাশীন দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করার পর বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় এলাকায় ওই ভূমিহীনদের নিকট ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন’সহ তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী নুর নবী মফিজ, সাদ্দাম হোসেন ও পারভেজ’সহ সঙ্গবদ্ধ সন্ত্রাসীরা।
চাঁদা না দিলে ভূমিহীনদের খাস জমি ছেড়ে চলে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয় তারা। ভূমিহীনদের মধ্যে দেলোয়ার হোসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তাই তিনি এবং তার প্রতিবেশীদের সন্ত্রাসীদের চাহিত চাঁদা দিতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে গত ০৬ ই আগস্ট বিকেলে আলমগীরের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী ভুক্তভোগীদের ৩টি বসত ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে তাদের ঘরে পেট্টোল ছিটিয়ে অগ্নিসংযোগ করে।
এসব ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় গিয়ে পুলিশকে না পেয়ে জেলার শীর্ষ স্থানীয় বিএনপির নেতাদের অভিযোগ জানিয়ে কোন প্রতিকার পাননি বলে দু:খ প্রকাশ করেন। এদিকে অভিযুক্ত সুবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, বিরোধকৃত জমি আমার নয়, জমিগুলো নুর নবী মফিজ নামের এক ব্যক্তির। ওই জমিতে কি হয়েছে, আমি তাও জানিনা, আমি সেখানে যায়নি। একটি গ্রুপ রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রভাকান্ড ছড়িয়ে ষড়যন্ত্র করছে।