তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে জমিদখলে যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিলের বিরুদ্ধে   মানববন্ধন 

তেঁতুলিয়া
  © টিবিএম

তেঁতুলিয়ায় যশোর ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেমকন লিমিটেড এবং কাজী এন্ড কাজী টি এ্যাস্টেটের সত্বাধিকারী এমপি কাজী নাবিলের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমিদখলের অভিযোগে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ হয়েছে। ভুক্তভোগি পরিবারদের আয়োজনে গত শুক্রবার বিকেলে তেঁতুলিয়া বাজারের ঐতিহাসিক তেঁতুলতলায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় অবৈধ উপায়ে জমিদখল ,হুমকি ও মিথ্যা মামলায় শত শত মানুষকে ভুমি ও গৃহহীন করেছে বলে মানববন্ধনে আসা স্থানীয়রা দাবি করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামু, আলী আমজাদ, শহীদুল্লাহ প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন কাজী নাবিল হাজার হাজার একর জমি কিনে এই অঞ্চলে চা বাগান, চা কারখানা সহ বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও রিসোর্ট স্থাপন করেছেন। আওয়ামীলীগ সরকারের সময় তিনি আমাদের মতো অনেক নিরীহ মানুষের জমি জোর করে দখল করেছেন। সরকারি জমি ও ডাহুক নদী  দখল করে চা বাগান করেছেন। বাধা দিতে গেলে তার লোকজনেরা হত্যার হুমকি, বিভিন্ন মামলায় আসামী করে শত শত মানুষকে পথে বসিয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি হাজার হাজার মানুষকে আসামী করে ফৌজদারী এবং সিভিল  আদালতে প্রায় ৫ শতাধিক মামলা দায়ের করেছেন। তার বিরুদ্ধে ও শতাধিক মামলা বিচারাধিন রয়েছে। মানবন্ধনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর প্রায় শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তারা পঞ্চগড়ে অবস্থিত কাজী নাবিলের স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ভুক্তভোগীদের জমি ফেরত দেয়ার জন্য সরকার এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজের  প্রতি আহব্বান জানান।

জানাগেছে তেঁতুলিয়ায় প্রায় ১ হাজার ৩’শ একর জমিতে কাজী নাবিলের চা বাগান রয়েছে। আনন্দ ধারা নামে একটি রিসোর্টও রয়েছে। এছাড়া পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলায় চা বাগান, সদর উপজেলায় পোল ফ্যাক্টরি, বোদা উপজেলায় জুট মিল রয়েছে। এ ব্যাপারে জেমকন লিমিটেডের ল্যান্ড অফিসার তাহিরুল ইসলাম জানান, অভিযোগগুলো সত্যি নয়। আমাদের কাগজ পত্র ঠিক আছে। বরং মালিকানা থাকা সত্বেও অনেক জমি এখনো আমাদের দখলে নেই।