সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী আছেন সন্দেহে হুজাইফা ডিক্লেয়ার নেতৃত্বে বাড়ি ঘেরাও; অতঃপর...

সদ্য সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আছেন এমন সন্দেহে মেহেরপুরের শিবপুরে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু এ সময় সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। সোমবার (১৯ আগস্ট) রাত পৌনে ৩টায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের কবরস্থান পাড়ার একটি বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। এর আগে মেহেরপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লেয়ার নেতৃত্বে যুবদলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী রাত পৌনে ১টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়।

সেখানে উপস্থিত স্থানীয়রা দাবি করেন, সোমবার রাত থেকে ফরহাদ হোসেন সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানতে পারেন তারা। একাধিক সূত্র থেকে এ তথ্য জানতে পেরে মেহেরপুর জেলা যুবদলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী রাত পৌনে ১টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেখানে পৌঁছলে বাড়ির ভেতর থেকে বলা হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেনাসদস্যরা না এলে গেট খোলা হবে না।এভাবে এক ঘণ্টারও অধিক সময় পার হয়ে গেলে সেখানে উপস্থিত হন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং মুজিবনগর থানার ওসি। অতঃপর বাড়ির ভেতর থেকে গেটটি খুলে দেওয়া হলে বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। তবে তল্লাশি করে ফরহাদ হোসেনকে পাওয়া যায়নি।

বাড়িটি ঢাকায় কর্মরত এনএসআইর যুগ্মপরিচালক আলিম উদ্দিন গাইনের। পুলিশি অভিযানকালে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন- আব্দুস সালম, মাসুদ, বখতিয়ারসহ প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী।

উপস্থিত জনগণ বলেন, প্রভাবশালী এক ব্যক্তির সহযোগিতায় ফরহাদ হোসেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, এমন খবর পেয়ে তারা বাড়িটি ঘেরাও করেন এবং পুলিশে খবর দেন। অভিযান পরিচালনায় স্বচ্ছতার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মীকে বাড়িটির ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়।

মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং সন্ত্রাস দমন আইনে সদ্য দায়ের একটি মামলার আসামি ফরহাদ হোসেন শিবপুরের একটি বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে আটকের জন্য বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি অভিযানে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে বাড়িতে মানুষের উপস্থিতি ছিল এমন আলামত পাওয়া গেছে।