টানা বর্ষণে ফটিকছড়ির নিন্মাঞ্চল প্লাবিত

ফটিকছড়ি
ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম  © টিবিএম

চলতি মাসের গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে ফটিকছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকটি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে হালদা, সর্তা খাল, ধুরুং খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ফসল ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলে বসতঘর ও রাস্তাঘাট পানিতে অনেকটা তলিয়ে গেছে ।

নাজিরহাট বাজার,বিবিরহাট বাজার,নানুপুর বাজারসহ বিভিন্ন হাটবাজার ও আশে পাশের এলাকায় চরম জলবদ্ধতার সৃ্ষ্টি হয়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এলাকাবাসী। নাজিরহাট-ঝংকার সড়কে গাছ উপরে পড়ে দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ থাকে।

উপজেলার বাগানবাজার, দাঁতমারা,নারায়ণহাট ও ভূজপুর,হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নের বহু রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় জনসাধারনের যাতায়াতে  ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি পুকুর ও মাছের প্রজেক্টে প্রবেশ করায় অনেক পুকুর ও প্রজেক্টের মাছ ভেসে গেছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ সবজি ক্ষেত ও ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ফলে কৃষকরা প্রচুর ক্ষতির শিকার হয়েছেন।

সুয়াবিল,সমিতিরহাট,জাফতনগর,খিরাম,ধর্মপুর,লেলাং,পাইন্দং,সন্দুপুরসহ বিভিন্ম নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে বিভিন্ন এলাকার মানুষ। এদিকে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ফটিকছড়ির আরো বহু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকার ডুবে গেছে বিভিন্ন সড়ক,অনেক  বসত ঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। 

স্থানীয় নারায়ণহাট ইউপির বাসিন্দা সাংবাদিক নোমান বিন খোরশেদ জানান, পাহাড়ি ঢলের পানি সীমিত পরিসরে লোকালয়ে প্রবেশ করলেও অবিরাম বর্ষণের ফলে ঢলের পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। বেশিরভাগ এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করে। এখনো পর্যন্ত পানি ঢুকছে।  ভারী বর্ষণ বন্ধ না হলে অবস্থা আরো ভয়াবহ হতে পারে।

নাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, ভারী বর্ষণে নাজিরহাট বাজারে চরম জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। এমতাবস্থায় ক্রেতা বিক্রেতা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

স্থানীয় দাঁতমারার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ পারভেজ  বলেন, আমার ওয়ার্ডের ঢালার মুখে ভারি বর্ষণে সড়ক প্লাবিত হয়েছে।  যাতায়াতের সড়কগুলোর উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ এবং যান  চলাচলে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। 

ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন,পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারনে জনদুর্ভোগ বেড়েছে,আমরা ক্ষতির বিষয়ে জেলা প্রশাসককে জানিয়েছি,কবলিত এলাকাগুলো পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।