বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় শামা ওবায়েদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪০ PM , আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪০ PM
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েছে বিএনপির আনাগোনা। সেইসঙ্গে বেড়েছে দলের বিভিন্ন গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ও সংঘর্ষের ঘটনাও। গত বুধবার ফরিদপুরের নগরকান্দায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে কবির ভূঁইয়া (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (পদ স্থগিত) শামা ওবায়েদ রিংকুকে প্রধান আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নগরকান্দায় থানায় মামলাটি করেন নিহতের স্ত্রী মোনজিলা বেগম (৪৪)। ওই মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি বেলা ৩টার দিকে নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান।
এর আগে বুধবার (২১ আগস্ট) কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের নিজ এলাকায় আগমন ও পথসভাকে কেন্দ্র করে নগরকান্দা উপজেলা সদরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষ। যার অপর পক্ষে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকুপন্থী পক্ষ।
এ সংঘর্ষে মারা যান উপজেলার ছাগলদী গ্রামের কৃষক কবির ভূঁইয়া। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। এ ঘটনায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ওই দুই নেতার সব পদ স্থগিত করেন।
এদিকে আলোচিত এই ঘটনার পর শহিদুল ইসলাম বাবুল নিহত ব্যক্তিকে নিজ দলের সমর্থক হিসেবে দাবি করেন এবং শামা ওবায়েদপন্থীরা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করেন। এ ঘটনার তিন দিন পর থানায় মামলা করা হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ঘটনার দিন (২১ আগস্ট) কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক (পদ স্থগিত) শহিদুল ইসলাম বাবুলের নগরকান্দা থানা বিএনপি, কৃষক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ জনগণের পক্ষে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য পথসভার আয়োজন করা হয়। এই সংবাদ পেয়ে বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ওই পথসভাকে পণ্ড করার জন্য তাঁর পক্ষের লোকদের নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী আরও উল্লেখ করেন, কবির ভূঁইয়া সদাই করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মিনারগ্রাম ভ্যানস্ট্যান্ডে পৌঁছানো মাত্রই বাবুল তালুকদার (আসামি) বলে, ‘শামা আপা হুকুম দিয়েছে, ওকে মারধর কর, শহিদুল ইসলাম বাবুলের লোকদের যাকে পাবি তাকে খুন করবি। যা কিছু হোক, যেভাবেই হোক, লোক মারতে হলে মরবে, তবুও শহিদুলের পথসভা করতে দেওয়া যাবে না; তাতে খুন-জখমের মামলা মোকদ্দমা যা-ই হোক, আমি দেখব। টাকাপয়সা যত লাগে আমি দেব।
‘এরপর আসামি মাসুদুর রহমান তৈয়ব হাতে থাকা ভ্যালা (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর কোমরের ডান পাশে কোপ দেয়। এরপর অন্যরা এলোপাতাড়িভাবে বাইরেইয়া (পিটিয়ে) মৃত্যু নিশ্চিত করে।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ওসি আমিনুর রহমান বলেন, ‘আজ সকালে মামলাটি রুজু হয়েছে। এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেপ্তার নেই। তবে, গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’