শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমি এন্ড হাইস্কুলে

বিধি লঙ্ঘন করে সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতা নিচ্ছেন খন্ডকালিন শিক্ষক আব্দুর রকিব! 

হবিগঞ্জ
  © সংগৃহীত

সরকারি এমপিওভূক্ত নীতিমালা লঙ্ঘন করে শায়েস্তাগঞ্জ ইসলামী একাডেমি এন্ড হাইস্কুলে সহকারি প্রধান শিক্ষকের বেতন-ভাতা নিচ্ছেন খন্ডকালিন শিক্ষক আব্দুর রকিব। শুধু তাই নয়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের বিস্তুর অভিযোগ। সূত্রে জানা গেছে, উল্লেখিত স্কুলে স্থায়ী (এমপিওভূক্ত) শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ১৭ জন। তন্মধ্যে ৫-৭ জন রয়েছেন সিনিয়র শিক্ষক। তাদেরকে উপেক্ষা করে খন্ডকালিন শিক্ষক আব্দুর রকিবকে ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেখিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন এমপিওভূক্ত সিনিয়র শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন, তেমনি স্কুলের কোষাগার থেকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে ।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনৈক স্থায়ী শিক্ষক জানান- স্কুলের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত সহকারি প্রধান শিক্ষকের পদটি শূণ্য রয়েছে। অথচ আমরা কয়েকজন স্থায়ী সিনিয়র শিক্ষক থাকা সত্যেও খন্ডকালিন শিক্ষক আব্দুর রকিবকে নিময়বর্হিভূত ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে সবধরণের সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।  বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল-কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রধান শিক্ষক হতে হলে ইনডেক্সধারী শিক্ষক হিসেবে এমপিওভূক্ত পদে ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। কিন্তু নীতিমালা লঙ্ঘন করে খন্ডকালিন শিক্ষক আব্দুর রকিবকে ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। 

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল হক বলেন, সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই বিষয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার জগদীশ দাশ তালুকদার বলেন,এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের   নীতিমালা অনুসর করে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। যদি কোনো প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিত হয় সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ইনডেস্কধারী শিক্ষক ১০ বছরের অভিজ্ঞতা হলে সহকারি প্রধান শিক্ষক হতে পারবেন।  খন্ডকালিন শিক্ষক এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।