পদত্যাগ করলেন নিজেই নিজের বেতন বাড়ানো সেই উপাচার্য
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ PM
নিজেই নিজের বেতন বাড়িয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (চমেক) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল হোসেন। এদিকে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন ডা. ইসমাইল খান।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) আলাউদ্দিন স্বপন।
তিনি বলেন, উপাচার্য দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসক পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাই গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি দায়িত্ব ছাড়ার আগে এমবিবিএস–সহ সব পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে যান। তাঁর ওপর রাজনৈতিক কোনো চাপ ছিল না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
গত বছর বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খানের নিয়োগ অনুযায়ী বেতন স্কেল তৃতীয় গ্রেডের। কিন্তু তার ব্যত্যয় ঘটিয়ে প্রথম গ্রেডের বেতন নেন তিনি। শুধু তা–ই নয়, নিজের বেতন বৃদ্ধির এই বিষয়টি সিন্ডিকেট থেকে পাস করিয়েও নিয়েছিলেন। এ ছাড়া নিজের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন উপাচার্য, যা সঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছিল ইউজিসি।
এ নিয়ে ওই বছরের ২৫ জুন বেসরকারি সংবাদমাধ্যম আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তখন ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক (বাজেট) মো. হাফিজুর রহমানের সই করা ওই পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্য সর্বশেষ প্রতিষ্ঠান থেকে আহরিত বেতন–ভাতাদির সমপরিমাণ অর্থ মাসিক বেতন হিসেবে প্রাপ্য হবেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট নিয়ম পরিবর্তন করে তাঁর বেতন প্রথম গ্রেডে উন্নীত করে। এই এখতিয়ার সিন্ডিকেটের নেই।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে ইসমাইল খান প্রথম গ্রেডে মূল বেতন পান ৮৩ হাজার টাকা। আর ভাতাসহ তিনি পান মোট প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। অথচ তাঁর তৃতীয় স্কেলে মূল বেতন হয় ৭৪ হাজার টাকা। এ অবস্থায় এলপিসি অনুযায়ী তাঁর বেতন নেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য সুপারিশ করে ইউজিসির পর্যবেক্ষণ দল।