হাছান মাহমুদ পালিয়ে গেছেন বেলজিয়ামে?

হাসান মাহমুদ
  © ফাইল ফটো

হাছান মাহমুদ সপরিবারে বেলজিয়ামে পালিয়ে গেছেন। বেলজিয়াম থেকে তিনি মোবাইল ফোনে কথাবার্তা বলছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে।তিনি এখন বেলজিয়ামের লিমবুর্গ প্রদেশের হ্যাসেল্ট সিটিতে তার নিজের বাড়িতে আছেন। সঙ্গে আছেন একমাত্র ছেলে আর স্ত্রী নুরান ফাতেমা। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

ওই বেসরকানি টেলিভিশন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হাছান মাহমুদ ঢাকা থেকে সরাসরি বেলজিয়াম যাননি। এমিরাতের ফ্লাইটে তিনি দুবাই হয়ে প্রথম জার্মানির ডসেলড্রপ বিমানবন্দরে যান গত ২৬ আগস্ট বিকেল পৌনে ৩ টায়। সেখান থেকে সড়কপথে গাড়ি চালিয়ে তাকে বেলজিয়ামের বাড়িতে পৌঁছে দেন জার্মান শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল।

মোবারক আলী ভূঁইয়া বকুল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি এইখানে আছেন এবং সেভ আছেন, এইটুকু আরকি। আর পরশুদিন আমাদের বেলজিয়ামে একটা মিটিং ছিল ওইখানে উনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না সেটি আগেই বলে দিয়েছেন। উনি এখানে কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতেছেন না, কারো সঙ্গেই তার যোগাযোগ নাই।

আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের শাসনামলে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত এক নাম ড. হাছান মাহমুদ। তিনি সবশেষ দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি হাসিনা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন। 

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাছান মাহমুদ এখন কোথায়, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্রেপ্তার হবেন বলে মনে করা হচ্ছিল। ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের পাশাপাশি আদালত সম্প্রতি তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দেয়। তবে এতোকিছুর মধ্যে বেড়িয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য।

গত ৬ আগস্ট ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাবেক জুনাইদ আহমদ পলক ও হাছান মাহমুদ গ্রেপ্তার হন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। পরে পলককে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও হাছান মাহমুদ ছিলেন নিখোঁজ।

গত ১৪ আগস্ট বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনেও হাছান মাহমুদ ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বলে দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, পলক আটকের কিছুক্ষণ পর আটক হন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটকে দেয়। এ দু'জনকেই সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে বিমানবন্দর সূত্র বিবিসি বাংলাকে নিশ্চিত করেছিল।