আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে না পারলে পদত্যাগ করুন: সমন্বয়ক হাসনাত

হাসনাত
  © সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে কেবল এক মাস হলো। এর মধ্যেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ বিভিন্ন আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সামনে হাজির হচ্ছেন। এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যতদিন পর্যন্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুনভাবে সাজাতে না পারবে ততদিন এই সরকার ক্ষমতায় থাকবে। রাষ্ট্রের শিক্ষা, সেবা খাত ও সড়ক-জনপথের গুরুত্বপূর্ণ সেবাকে জনগণমুখী করা- যতদিন না পর্যন্ত জনমুখী করতে পারবে ততদিন পর্যন্ত এই সরকারের কাজ করে যেতে হবে। আপনারা যদি ছাত্র-জনতার আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে না পারেন- তাহলে পদত্যাগ করেন।’

আজ মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমরা শুনেছি, বর্তমান সরকারের অনেকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনাদের বলে দিতে চাই, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা না নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সিঙ্গাপুরের মতো করুন। না হয় এই সরকারে থাকার নৈতিক অধিকার অবস্থা আপনারা হারিয়ে ফেলবেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশের মধ্যে কেউ কেউ বেনজীর হয়েছে, কেউ কেউ ডিবি হারুন হয়েছে। এর দায় সব পুলিশ সদস্যদের নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা পুলিশের সহযোগিতা চাই।’

সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ‘আই হেইট পলিটিক্স’ প্রজন্ম তৈরি করে জনগণকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। আমরা সেই রাজনীতি অসচেতন প্রজন্ম চাই না। আমরা চাই, বর্তমান প্রজন্ম রাজনীতি সচেতন হিসেবে গড়ে উঠুক।’

পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘পাহাড়ে অনেক সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে আহ্বান জানাই, পাহাড়ে সুশিক্ষা ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা জানতে পেরেছি পাহাড়ে বর্গা শিক্ষক ব্যবস্থা রয়েছে। যারা বিদ্যালয়ে না গিয়ে অন্য আরেকজন শিক্ষকতা করেন। তাতে  শিক্ষার গুণগতমান ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, ঢাকায় বসে একজন শিক্ষার্থী যে ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাবে পাহাড়ের প্রান্তিক পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থী সেই সুযোগ যাতে পায়।’

তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি রাঙামাটিতে একটিও আইসিইউ ব্যবস্থা নেই। আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ডিজি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাতে করে শহরের মতো পাহাড়েও একই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায়।’