মাগুরায় মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ

মাগুরা
  © টিবিএম

মাগুরার শ্রীপুরে এক সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে শ্রীপুর থানার কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের মুন্সী মোস্তাক কামালের সাবেক স্ত্রী নাহিদা সুলতানা নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত সাংবাদিক কাদিরপাড়া ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামের সেলিম মুন্সী জাতীয় দৈনিক ঢাকার ডাক পত্রিকার স্টার্ফ রিপোটার। মামলার এজাহারে ঐ সাংবাদিককে গুম, খুন, হত্যার হুমকিদাতা হিসাবে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদী নাহিদা সুলতানা। এছাড়াও বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করার অভিযোগ ও উল্লেখ রয়েছে।

তবে সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবি করে অভিযুক্ত জাকিউল আলম জানান, মহিলার সাথে তার হাজবেন্ডের সম্পর্ক খারাপ ছিলো তারা মাগুরা জেলা লিগ্যাল এইড থেকে ডিভোর্স নিয়েছে। সেখানে ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা ঐ মহিলাকে দেওয়া হয়। আমি তার ডিভোর্সের সময় উপস্থিত ছিলাম বলেই আমাকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে হেনস্তা করছে। এরপর থেকে ঐ মহিলা আমাদের পিছু লেগেছে। জাকিউল আলম আরো জানান, বাদী নাহিদা সুলতানার বাবা মৃত খোন্দকার নাজায়েত আলী ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে৷ বিশেষ অবদান রাখা শ্রীপুর আঞ্চলিক আকবর বাহিনীর একজন উপ কমান্ডার হওয়ায় এবং পরিবারটি সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করায় এতদিন আমাকে প্রশাসন সহ নানা ভাবে নির্যাতন ও হয়রানি করে। আমি এবং আমার ফ্যামেলী বিএনপি পন্থী হওয়ায় এতদিন কোথাও কোন সুষ্ঠু সমাধান পাইনি।

বরং তারা তখন ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্যাতনের মাত্রা দিনদিন বাড়াতেই থাকে। তাই এতদিন নির্যাতিত থেকেই আমাকে এবং আমার পরিবারকে চুপ থাকতে হয়েছে। বর্তমানে দেশে একটা সুষ্ঠ বিচারের পরিবেশ ফিরে আসায়, আমি বিগত সরকার আমলে মিথ্যা মামলায় একজন নির্যাতিত হিসাবে প্রশাসনের নিকট পূনরায় তদন্ত  সাপেক্ষে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার কামনা করছি। বর্তমানে বিগত সরকার না থাকায় আমি এই মামলার একটি সুষ্ঠু সমাধান আশা করছি।

উল্লেখ্য এই মামলায় আরো তিন নারীসহ ৬ জনকে করা হয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন সেলিম মুন্সি,  সাগর, বাশার মুন্সী, নাছিমা খাতুন, ফাতেমা, সামছুন্নাহার। তারা সকলেই কমলাপুর গ্রামের বাসিন্দা। অত্র সিআর মামলার বাদী নাহিদা সুলতানা অভিযোগ করেন যে, আসামীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করতো। চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে জমি দখল করতে আসে। এসময় আমার ছেলেরা বাধা দিলে তাদেরকে মারপিট করা হয়। আমি তাদের বাচাতে গেলে আমাকেও মারপিট করে।  

তবে এসব অভিযোগের তেমন কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামাল হোসেনের তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, অভিযোগ কারী নাহিদা সুলতানার সব গুলো অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ।