স্কুলের মাঠে আমনের বীজতলা; কৃষক বাঁচাতে এগিয়ে এলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

চাঁদপুরে
  © সংগৃহীত

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বন্যার পানি প্রবেশ না করলেও অব্যাহত ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় এখনো পানির নিচে উপজেলার অনেক ফসলের মাঠ। যদিও এ অঞ্চলে এখন চলছে আমন চাষের মৌসুম। কৃষকের সে দুঃশ্চিন্তা দূর করতে এগিয়ে এলেন এক ঝাঁক শিক্ষক-শিক্ষার্থী। নিজেদের খেলার মাঠকে দিয়ে দিলেন কৃষকের আমনের বীজতলা তৈরিতে। ঘরে থাকা বীজ ধান নষ্ট হয়ে গেলেও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বীজ উপহার দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে।

এমন চিত্রটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার রুপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে এ উদ্যোগকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন উপজেলাবাসী।

স্কুল মাঠে বীজতলা প্রস্তুতকারী কৃষকদের একজন মোবারক হোসেন জানান, ইতোমধ্যে দুইবার আমাদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় আমরা স্কুল মাঠে বীজতলা তৈরি করেছি। বীজতলা তৈরি না করা গেলে একদিকে আমন উৎপাদন ব্যাহত হতো অন্যদিকে আমদের না খেয়ে থাকতে হতো। 

বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক একেএম সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, জলাবদ্ধতায় কৃষকদের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষকদের অনুরোধে প্রেক্ষিতে স্কুলের মাঠে বীজতলা তৈরির সুযোগ দিয়েছি। আশা করি এতে কৃষকরা ও এলাকাসী উপকৃত হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্লোল কিশোর সরকার জানান, এ বছর আমাদের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ৮৩৭৩ হেক্টর। জলাবদ্ধতায় লক্ষমাত্রা অর্জনের বিষয়ে আমরা শঙ্কিত। চেষ্টা করছি, লক্ষমাত্রার কাছিকাছি পৌঁছতে। বীজতলা প্রস্তুত করার উপযোগী মাঠ না থাকায় স্কুল মাঠে বীজতলা তৈরির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি জানান, আমরা কি এ ধরনের কাজের অনুমতি দিতে পারি?

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌলি মন্ডল জানান, আমন চাষের মৌসুম চলে যাচ্ছে। যেহেতু জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না, কৃষক যাবে কোথায়? তাদেরকে তো আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।