মসজিদের দান বাক্সের টাকা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় মসজিদের দান বাক্সের টাকা নেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মজলিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে বানিয়াচং থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্যদের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মজলিশপুর গ্রামের আনফর উল্লার ছেলে শামীম মিয়া (৪২), একই গ্রামের হিরণ মিয়ার ছেলে রাশেদ মিয়া (৩০), রফিক মিয়ার ছেলে এনামুল মিয়া (৩০), রশিদ মিয়ার ছেলে ডালিম মিয়া (২৫), রহমান উল্লার ছেলে সাজু মিয়া (৩৫), আব্দুল হামিদ (৫০), মগল উল্লার ছেলে জুবেদ মিয়া (৬৫), জুবেদ মিয়ার ছেলে মনছুর মিয়া (৩৫), লাল মিয়ার ছেলে জিয়ায়ুর মিয়া (৩৪), বাচ্চু মিয়া (৫০), শবেকদর মিয়ার ছেলে রাকাত মিয়া (১৮), আলী আমজদ মিয়ার ছেলে আকিবুর মিয়া (২০), লাল মিয়ার ছেলে আজাদ মিয়া (২২) ও জাহের আলীর ছেলে আছকির মিয়া (৩০)।
আহতদের হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল, বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ ও স্থানীয় ফার্মেসিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর মজলিশপুর জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি আনুয়ার মিয়া দান বাক্সের টাকা নিতে গেলে মেম্বার মনসুর মিয়ার পক্ষের লোকজন বাঁধা দেন। এ নিয়ে মসজিদের ভেতরেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে উভয় পক্ষ টেঁটা, বল্লম, রামদা ও ইট-পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড় ঘণ্টা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
এলাকাবাসী বলছেন, মজলিশপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। বারবার সালিশ বৈঠক করে সাময়িক সময়ের জন্য মিমাংসা হলেও স্থায়ী কোন সমাধান হচ্ছে না।
বানিয়াচং থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, মসজিদে দান বাক্সের টাকা নেয়াকে কেন্দ্র করে নতুন ও পুরাতন মোতাওয়াল্লীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলেও জানান তিনি।