নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ
পানি শুধু রাজনীতির বিষয় নয় এটি কুটনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গেও জড়িত; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
- ফেনী প্রতিনিধিঃ
- প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ PM , আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ PM
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভারতের সঙ্গে অতীতের সরকারের নীরবতা বা নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ। নদীর পানি শুধু রাজনীতির বিষয় নয়। এটি কূটনীতি ও অর্থনীতির সঙ্গেও জড়িত।
রোববার (২২, সেপ্টেম্বর) ফেনীর পরশুরামের মীর্জনগরের নিজ কালিকাপুর এলাকায় ভাঙ্গন কবলিত বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্ন জবাবে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, উজানের দেশ ভারতের সঙ্গে শুধুমাত্র এ নদী কেন্দ্রিক সমস্যা এমন নয়, প্রায় সবগুলো নদী নিয়েই সমস্যা। আমাদের ৫৪ বা ৫৭ টি অভিন্ন নদী রয়েছে। কিন্তু আমরা এখনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারিনি। তিস্তা নিয়েও তা পারিনি। বন্যায় অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে আপনাদের কাছে এটি অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কিন্তু তিস্তা বারের মানুষের এমন বন্যায় প্রতিবছর দুঃখ করতে হয়। এটি এভাবে চলতে পারেনা।
তিনি আরোও বলেন, তিস্তা চুক্তির খসড়া হয়ে যাওয়ার পরেও তারা স্বাক্ষর করেনি। কিন্তু আমরা এখন আমাদের মানুষের দাবিগুলোকে তাদের ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। এতদিন সেগুলোও কার্যকরভাবে হয়নি। তিস্তা নদী নিয়ে কি হচ্ছে সেই ব্যাপারেও এতদিন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জানতেন না। তারা শুধু জানত বাংলাদেশে কেবল একটি বন্যা হয়েছে। কিন্তু এ বন্যায় যে আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে পারতাম, ২৯ জন মানুষের টানহানি আটকাতে পারতাম এ বিষয়গুলো উজানের দেশের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়িকেও বলতে হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরোও বলেন, সরকারের চশমা দিয়ে নয়, জনগণের চশমা দিয়েই সমস্যাগুলো দেখার জন্য এসেছি। স্থানীয়রা এ বিষয়ে কেমন সমাধান চায়, সে কথা শুনে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতিবেশী দেশ থেকে একটি বাঁধ কেটে দেওয়ার কারণে ক্ষতি বেশি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন যৌথ নদী কমিশন ও নীতি নির্ধারণী মহলের সঙ্গে বসে এ ক্ষতির কথা তুলে ধরব।
এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, পুলিশ সুপার মোঃ হাবিবুর রহমান, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।