ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি, আদালতে মামলা
- মোমেন্টস ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ PM , আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ PM
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) কলাপাড়া চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশীষ রায়ের আদালত বাদীর নালিশী মামলা আমলে নিয়ে ওসি, কলাপাড়া থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কাইউম ও বাদীর নিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান চুন্নু আদালতের এ আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় মাসুম বিল্লাহ নামের একজনকে আসামি করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত তোজাম্বর আলী খানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগের পয়েন্টস ম্যান পদে কর্মরত।
মামলায় বলা হয়, মামলায় বলা হয়, গত ২ মে ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি মামলায় হাজিরা শেষে আদালতের বাইরে এলে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেন। যা সময় টিভিসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল প্রচার করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ওই ভিডিওতে কমেন্টস করেন, শেয়ার করেন। তখন আসামি উক্ত ভিডিওতে কমেন্টস করেন ‘আপনাকে দেখে মনে হয় আমেরিকার দালাল।’ এতে বাদীর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। অতঃপর আসামি এলাকায় বসে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সুদখোর, ইহুদি পশ্চিমা দালাল বলে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মানহানিমূলক উক্তি করেন। সর্বোপরি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে একাকি পেলে গুলি করে হত্যার হুমকি দেন আসামি।
আদালতের একাধিক সূত্র জানায়, বাদী তার নালিশী মামলাটিতে প্রথম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ধারা সহ পেনাল কোডের ৩০৭, ৪৯৯, ৫০৬(খ) ধারা সংযুক্ত করে দাখিল করায় বিচারক মামলাটি তার এখতিয়ায় বহির্ভূত এবং বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে দায়েরের পরামর্শ দিলে বাদীর নিযুক্তিয় কৌঁসুলি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাটি কেটে দেন।
সূত্রটি আরও জানায়, মামলাটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপরাধের বিবরণে লেখা। এছাড়া মামলার বিবরণে পেনাল কোডের ৩০৭ ধারার কোনো উপাদান নেই।
এদিকে মামলা দায়েরের পর মামলার বিবাদী মো. মাসুম বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বাদী হাসান মাহমুদ আমার আপন চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। গ্রামের স্কুলের নিয়োগ সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে আমাকে ঘায়েল করতে আমার বিরুদ্ধে এমন কাল্পনিক ইস্যুতে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ঘটনার তারিখ আমি গ্রামে নয় অফিসে কর্মরত ছিলাম, অফিসের হাজিরা খাতায় আমার স্বাক্ষর রয়েছে।