তারাগঞ্জে আওয়ামীলিগের ৫ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

তারাগঞ্জ
  © টিবিএম

দ্রুত বিচার আইনে করা একটি মামলায় রংপুরের তারাগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৫ নেতা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩.৩০ মিনিটে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, রংপুরের বদরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। গত মাসের ১৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক বাদশাহ ওসমানী। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদরগঞ্জ আমলী আদালতে মামলার আবেদন করা হলে শুনানি শেষে মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে বদরগঞ্জ থানাকে নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক কৃষ্ণ কমল রায়। 

ওই মামলায় তারাগঞ্জে যারা গ্রেফতার হয়েছে, কুর্শা ইউনিয়নের ঘণিরামপুর বেলতলী এলাকার মাইদুল হকের ছেলে সোহাগ মিয়া (২০), হারিয়ারকুটি ইউনিয়নের কিসামত মেনানগর এলাকার আলম উদ্দিনের ছেলে শহীদার রহমান বট্টু (৩৭), শেরমস্ত ভবাণীগঞ্জের জয়নুল আবেদীনের ছেলে নাজমুল ইসলাম (২৫), চিকলী ফাজিলপুরের দুলালের ছেলে সোহেল রানা (২৪) ও খোর্দ বিলাইচিন্ডি এলাকার ইমান উদ্দিন সরকারের ছেলে আব্দুল হক সরকার দিপু (৩৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট এমপি ডিউকের নির্দেশে সকাল সাড়ে দশটায় বদরগঞ্জ পৌর শহরের হক সাহেবের মোড় ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ছাত্রীদের ওড়না ড্রেস টেনে ছিড়ে রাস্তায় ফেলে মারপিট করে। এ সংবাদ পেয়ে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা অভিভাবক সাধারণ মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুললে তারা কিছুটা পিছপা হয়ে বদরগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের কাছাকাছি পৌঁছে প্রতিবাদী ছাত্র জনতার উপরে সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করে। এতে মনিরুজ্জামান, সাজু, মিয়া, সোহান, আশিকুলসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়। পরে তারা সেন্টারের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করে রাস্তার ধারে পার্কিং করা ৩০-৩৫টি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এলএসডি রোডে গিয়ে উপজেলা পরিষদের সরকারি পাজেরো গাড়ি পুড়িয়ে দেয়।

এর পরদিন ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের দিনে আবারও আন্দোলনে হামলা চালায়। এতে আরও ২০০ জন ছাত্র-জনতা আহত হয়। এ সময় গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর, লুটপাটসহ তাণ্ডব লীলা চালায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

এ মামলায় স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, বদরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র টুটুল চৌধুরী, এমপিপত্নী সুরভি চৌধুরী, এমপির পিএস আবুল কালাম আজাদসহ ১৬৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা হিসেবে অসংখ্য আসামি করা হয়েছে।

এস আই লতিফ জানান, বদরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ থানার যৌথ অভিযানে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

তারাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গত আগষ্ট মাসে বদরগঞ্জ পৌর এলাকায় সরকারি স্থাপনা ও যানবাহন ভাঙচুর ও জানমালের ক্ষতি সাধনের ধারায় বদরগঞ্জ থানার মামলা নং ১৬ এর আসামী ধরা হয়েছে।