সিরাজগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী- স্ত্রী আহত
- মোঃ রবিউল ইসলাম সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি;
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ PM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৪১ PM
-10754.jpg)
সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের মৃত আঃ জুব্বারের পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম। তার একমাত্র স্ত্রী মোছাঃ রহিমা খাতুন ছাড়া সংসারে আর কেউ নাই।
একই বাড়িতে বাস করে তার দুই ভাতিজা মোঃ রুবেল হোসেন, জুয়েল, ভাবি রোকেয়া বেগম এবং ভাতিজা বউ তাজমহল খাতুন। প্রায় দিনই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকে।
প্রায় তিন মাস আগে রফিকুল ইসলাম এর স্ত্রী রহিমা খাতুনকে রুবেল হোসেন এর স্ত্রী ও মা মিলে ব্যাপক মারপিট করে। একপর্যায়ে রহিমা খাতুনকে মুখে কামুড় দিয়ে জখম করে দেয়। এই ঘটনার কারণে স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান এর বাড়িতে শালিশ বসে উভয় পক্ষকে মিলমিশ করিয়ে দেন।
রফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন এর অভিযোগ স্থানীয় মাতবরগণের কথা অমান্য করে রুবেল হোসেন এর নেতৃত্বে সকলে মিলে আমার বাড়িতে আক্রমণ করে ঘরের টিনের বেড়া দা-কুড়াল দিয়ে কেটে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আমার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুশি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়ে শ্লীলতাহানি করে। রহিমা খাতুন এর চিৎকারে আমি বাচাঁতে আসলে আমাকেও মারপিট করে। আমাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে আমাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় আমি আমার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে সাথে নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমি এবং আমার স্ত্রী নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। যেকোনো সময় আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় মুরব্বি মোঃ মফিজ উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায় রুবেল গং এবং রফিকুলের সাথে প্রায়ই ঝামেলা হয়।
স্থানীয় মুরব্বি গাজী মোঃ আকবর হোসেন বলেন, আমরা ইতোপূর্বে এ বিষয়ে বহু শালিশ দরবার করেছি, কিন্তু তারা সংশোধন হয়না। রফিকুলের সন্তান না থাকায় বারবার মার খেয়ে আসছে। কোন ভাবেই রুবেলদর বুঝিয়ে কাজ হচ্ছে না।
অভিযুক্ত রুবেল হোসেন এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় যোগাযোগ করে জানা যায় আজই রফিকুল ইসলাম একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানা থেকে বলেন, আমরা তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।
এলাকাবাসী জানান, রুবেল হোসেন এবং রফিকুল ইসলামের মধ্যে সমাধান করতে না পারলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই যতদ্রুত সম্ভব উভয় পক্ষের মধ্যে একটি স্থায়ী সমাধান হতে হবে।